পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী মানবধর্ম, ঈর্ষা বড়ো বালাই, একটুতে বুক জtলায় ।” বললে শুনে বিংশতিকা, “এই ছিল মোর ভালে— বুক ফেটে আজ মরব কি শেষকালে, কে কোথাকার তার উদ্দেশে করব রাগরাগি মালা দেওয়ার ভাগ নিয়ে কি, এমনি হতভাগি ।” আমি বললেম “কেনই বা দা ও লাজ, क८व्र ट्रे-नां व्यांब्मांछ ।* বলে উঠল, “জানি, জানি, ঐ আমাদের ছবি, আমারই বান্ধবী । একসঙ্গে পাস করেছি ব্রাহ্ম-গাবুল-স্কুলে, তোমার নামে চোখ পড়ে তার ঢুলে । তোমার ও তো দেখেছি ওর পানে মুগ্ধ আঁখি পক্ষপাতের কটাক্ষ সন্ধানে ৷” অামি বললেম, “নাম যদি তার শুনবে নিতান্তই— আমাদের ঐ জগা মালী, মুদুস্বরে কই ।” নাতনি বলে, “হায় কী দুরবস্থা, বয়স হয়ে গেছে ব’লেই কণ্ঠ এতই সস্তা । যে গলাটায় আমরা গলগ্ৰহ জগামালীর মালা সেথায় কোন লজ্জায় বহ ।” অামি বললেম, “সত্য কথাই বলি, তরুণীদের করুণ। সব দিলেম জলাঞ্জলি । নেশার দিনের পারে এসে অাজকে লাগে ভালো, ঐ যে কঠিন কালো । জগার আঙুল মালা যখন গাথে বোকা মনের একটা কিছু মেশায় তারই সাথে । তারই পরশ আমার দেহ পরশ করে যবে রস কিছু তার পাই ষে অস্থভৰে । এ-সব কথা বলতে মানি ভয় তোমার মতো নব্যজনের পাছে মনে হয়— O&