পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Cl oર রবীন্দ্র-রচনাবলী ষে ভাবটিকে নিয়ে কৰি কাব্য স্থষ্টি করলেন সেটি কবিতাকে আকার দেবার একটা উপাদান । দেবালয় থেকে বাহির হয়ে গোধূলির অন্ধকারের ভিতর দিয়ে হুন্দরী চলে গেল, এই একটি তথ্যকে কবি ছন্দে বাধলেন— বব গোধূলিসময় বেলি ধনী মন্দিরবাহির ভেলি, নৰজলধরে বিজুরিয়েহ বন্ধ পদারি গেলি । ভিন লাইনে আমরা একটি সম্পূর্ণ রূপ দেখলুম— সামান্ত একটি ঘটনা কাব্যে অসামান্ত হয়ে রয়ে গেল। আর-একজন কবি দারিদ্র্যদুঃখ বর্ণনা করছেন। বিষয়হিসাবে স্বভাবতই মনের উপর তার প্রভাব আছে। দরিদ্র ঘরের মেয়ে, অল্পের অভাবে আমানি খেয়ে তাকে পেট ভরাতে হয়— তাও বে পাত্রে করে খাবে এমন সম্বল নেই, মেজেতে গর্ত করে আমানি ঢেলে খায়— দরিদ্র-নারায়ণকে আর্তম্বরে দোহাই পাড়বার মতো ব্যাপার । কবি লিখলেন— দুঃখ করো অবধান, छूःथं क८ब्रां चबषांन, আমানি খাবার গর্ত দেখো বিদ্যমান । कथंॉफै। ब्रिट*ांपैं कब्र श्ल प्रांज, डा क्लन ५द्रण ना । किड, नॉश्८िडा शनैौ वा नद्विज८क विशञ्च कब्र चांद्धांञ्च डांद्र छे९कर्ष घटछै ना ; डांव डांव डक्रौ जयरडü छक्लिटब्र একটি মূর্তি স্বষ্টি হল কিনা এইটেই লক্ষ্য করবার যোগ্য। ‘তুমি খাও ভাড়ে জল, আমি খাই ঘাটে – দারিদ্র্যহঃখের বিষয়-হিসাবে এর শোচনীয়তা অতি নিবিড়, কিন্তু তবু কাব্য-হিসাবে এতে অনেকখানি বাকি রইল । বঙ্কিমের উপন্যালে চজশেখরের অসামান্ত পাণ্ডিত্য ; সেইটি অপর্যাপ্তভাবে প্রমাণ করবার জন্তে বঙ্কিম তার মুখে বড় দর্শনের আস্ত আস্ত তর্ক বসিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু, পাঠক বলত, আমি পাণ্ডিত্যের নিশ্চিত প্রমাণ চাই নে, আমি চজশেখরের সমগ্র ব্যক্তিরূপটি স্পষ্ট করে দেখতে চাই। সেই রূপটি প্রকাশ পেয়ে ওঠে ভাষায় ভঙ্গীতে আভাসে, ঘটনাবলীর নিপুণ নির্বাচনে, বলা এবং না-বলার অপরূপ ছন্দে । সেইখানেই ৰঙ্কিম হলেন কারিগর, সেইখানে চন্দ্রশেখর-চরিত্রের বিষয়গত উপাদান নিয়ে রূপম্রষ্টার ইজজাল আপন স্বাক্টর কাজ করে। আনন্দমঠে সত্যানন্দ ভৰালন্দ প্রভৃতি সন্ন্যাসীরা সাহিত্যে দেশাত্মবোধের নৰযুগ অবতারণ কৰেছেন কি না তা নিয়ে সাহিত্যের তরফে জাময় প্রশ্ন করব না ; আমাদের প্রশ্ন এই যে, তাদের নিয়ে সাহিত্যে নিঃসংশয় স্বপ্রত্যক্ষ কোনো