পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খেয়া ■ ১৫৫ {} তীরে তরুর ছায়ায় রাখাল বাজায় বঁাশি মনের সুপে । তখন আমি ভাবি নাইকে সূর্য যাবে অস্তাচলে, নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে পড়ব এসে সাগর-জলে ; ঘাটে ঘাটে তারে তীরে যে-তরী ধায় ধীরে ধীরে, বাইতে হবে নিয়ে তারে নীল পাথারে একলা প্রাণে । তারাগুলি আকাশ ছেয়ে মূপে আমার রৈল চেয়ে, সিন্ধু-শকুন উড়ে গেল কৃলে আপন কুলায় পানে । দুলুক তরী ঢেউয়ের পরে ওরে অামার জাগ্ৰত প্ৰাণ । গা ও রে আজি নিশীথ-রাতে অকূল-পাড়ির আনন্দগান। যাক না মুছে তটের রেপা, নাই বা কিছু গেল দেখা অতল বারি দিক না সাড়া বাধনহারা হাওয়ার ডাকে । দোসর-ছাড়া একার দেশে একেবারে এক নিমেষে, লও রে বুকে দু-হাত মেলি অস্তবিহীন অজানাকে । ৭ বৈশাপ ১৩১৩