পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের কবিতা ՀԳշ তাজমহলের পুনরাবৃত্তির প্রসঙ্গে রবি ঠাকুরের ভক্ত আরক্তমূপে বলে উঠল, “ভালো জিনিস যতো বেশি হয় ততই ভালো ।” অমিত বললে, “ঠিক তার উলটো । বিধাতার রাজ্যে ভালে জিনিস অল্প হয় বলেই তা ভালো, নইলে সে নিজেরই ভিড়ের ঠেলায় হয়ে যেত মাঝারি।-- যে-সৰ কবি স্বাট-সত্তর পর্যন্ত বাঁচতে একটুও লজ্জা করে না, তারা নিজেকে শাস্তি দেয় নিজেকে সস্তা করে দিয়ে। শেষকালটায় অনুকরণের দল চারিদিকে ব্যুহ বেঁধে তাদেরকে মুপ ভ্যাঙঢাতে থাকে। তাদের লেপার চরিত্র বিগড়ে যায়, পূর্বের লেপা থেকে চুরি শুরু করে হয়ে পড়ে পূর্বের লেপার রিসীভর্স অফ স্টেলিন প্রপার্টি। সে-স্থলে লোকহিতের পাতিরে পাঠকদের কর্তব্য হচ্ছে, কিছুতেই এই সব অতিপ্রবীণ কবিদের বাঁচতে না দেওয়া, - শারীরিক বঁাচার কথা বলছি নে, কাব্যিক বঁচে । এদের পরমায়ু নিয়ে বেঁচে থাক প্রবীণ অধ্যাপক, প্রবীণ পোলিটিশম, প্রবীণ সমালোচক ।” সেদিনকার বক্ত বলে উঠল, “জানতে পারি কি, কাকে আপনি প্রেসিডেণ্ট করতে চাম ? তার নাম করুন ।” আমি ত ফস করে বললে, "নিবারণ চক্রব তা ।” সভার নানা চৌকি থেকে বিঘ্নিত রব উঠল- "নিবারণ চক্রবর্তী ? সে লোকটা কে ?” "আজকের দিনে এই যে প্রশ্নের অঙ্কর মাত্র, আগামী দিনে এর থেকে উত্তরের বনস্পতি ,জগে উঠবে।" “ইতিমধ্যে আমরা একটা নমুনা চাই ।” “ তবে শুতুন " বলে পকেট থেকে একটা সরু লম্ব। কাম্বিসে-বাধা পাতা বের করে তার থেকে পড়ে গেল আনিলাম অপরিচিতের নাম ধরণীতে, পরিচিত জনতার সরণীতে । আমি আগন্তুক, আমি জন-গণেশের প্রচণ্ড কৌতুক । , থোলো দ্বার, বার্তা আনিয়াছি বিধাতার ;