পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांछ ●वंछ t 8මථ বিসর্জন না দিলে তাহার মন পাওয়া যাইবে না। অতএব, সেখানে অনেক মধু ঢালিতে হয়, অনেক তেল খরচ না করিয়া চলে না । ইংলণ্ডের উপনিবেশগুলি তাহার দৃষ্টান্ত । ইংরেজ ক্রমাগতই তাহাদের কানে মন্ত্র "আওড়াইতেছে, “যদেতং হৃদয়ং মম তদন্তু হৃদয়ং তব,” কিন্তু তাহারা শুধু মস্ত্ৰে তুলিবার নয়—পণের টাকা গনিয়া দেখিতেছে । .یا نه হতভাগ্য আমাদের বেলায় মন্ত্রেরও কোনো প্রয়োজন নাই, পণের কড়ি তো দূরে থাক ! আমাদের বেলায় বিচাধ এই যে, বিদেশীয়ের সহিত ভেদবুদ্ধি জাতীয়তার পক্ষে আবশ্বক কিন্তু ইম্পরিয়লিজমের পক্ষে প্রতিকূল ; অতএব সেই ভেদবুদ্ধির যে-সকল কারণ আছে, সেগুলাকে উংপাটন করা কর্তব্য । কিন্তু সেটা করিতে গেলে দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশের মধ্যে যে একটা ঐক্য জমিয়া উঠিতেছে, সেটাকে কোনোমতে জমিতে না দেওয়াই শ্ৰেয় । সে যদি খণ্ড খণ্ড চূৰ্ণ চুৰ্ণ অবস্থাতেই থাকে, তবে তাহাকে আত্মসাৎ করা সহজ । ভারতবর্ষের মতো এতবড়ে দেশকে এক করিয়া তোলার মধ্যে একটা গৌরব আছে। ইহাকে চেষ্টা করিয়া বিচ্ছিন্ন রাখা ইংরেজের মতো অভিমানী জাতির পক্ষে লজ্জার কথা । কিন্তু ইম্পরিয়লিজম-মন্ত্রে এই লজ্জা দূর হয়। ব্রিটিশ এম্পায়ারের মধ্যে এক হইয় যাওয়াই ভারতবর্ষের পক্ষে যখন পরমার্থলাভ, তখন সেই মহন্ধুদ্দেশ্বে ইহাকে জাতায় निशिग्रा बिब्रिहे कब्राझे “श्छूिशानिद्वि” । ভারতবর্ষের কোনো স্থানে তাহার স্বাধীন শক্তিকে সঞ্চিত হইতে না দেওয়া ইংরেজসভ্যনীতি অনুসারে নিশ্চয়ই লজ্জাকর ; কিন্তু যদি মন্ত্র বলা যায় “ইস্পীরিয়লিজম”— তবে যাহা মহন্তত্বের পক্ষে একান্ত লজ্জ তাহ রাষ্ট্রনীতিকতার পক্ষে চূড়ান্ত গৌরব হইয়া উঠিতে পারে। নিজেদের নিশ্চিন্তু একাধিপত্যের জন্য একটি বৃহৎ দেশের অসংখ্য লোককে নিরস্ত্র করিয়া তাহাদিগকে চিরকালের জন্ত পৃথিবীর জনসমাজে সম্পূর্ণ নি:স্বত্ব নিরুপায় করিয়া তোলা যে কতবড়ো অধৰ্ম, কী প্রকাও নিষ্ঠুরতা, তাহা ব্যাখ্যা করিবার প্রয়োজন নাই ; কিন্তু এই অধর্মের মানি হইতে আপনার মনকে বাচাইতে হইলে একটা বড়ো বুলির ছায় লইতে হয় । সেসিল রোডস একজন ইম্পরিয়লবায়ুগ্রস্ত লোক ছিলেন ; সেইজন্য দক্ষিণআফ্রিকা হইতে বোয়ারদের স্বাতন্ত্র্য লোপ করিবার জন্য র্তাহীদের দলের লোকের কিরূপ আগ্রহ ছিল, তাহা সকলেই জানেন । e eس- ه لا