8b'8 রবীন্দ্র-রচনাবলী আর কেহই নিজের স্বার্থ ও স্বচ্ছনতার মধ্যে ধরিয়া রাখিতে পারিবে না । বহুদিনের শুষ্কতা ও অনাবৃষ্টির পর বর্ষ যখন আসে তখন সে ঝড় লইয়াই আসে—কিন্তু নববর্ষার সেই আরম্ভকালীন ঝড়টাই এই নূতন আবির্ভাবের সকলের চেয়ে বড়ো অঙ্গ নহে, তাহা স্থায়ীও হয় না। বিদ্যুতের চাঞ্চল্য বঞ্জের গর্জন এবং বায়ুর উন্মত্তত আপনি শাপ্ত হইয়া আসিবে,—তখন মেঘে মেঘে জোড়া লাগিয়া আকাশের পূর্বপশ্চিম স্নিগ্ধতায় আবৃত হইয়া যাইবে—চারিদিকে ধারাবর্ষণ হইয়া তুষিতের পাত্রে জল ভরিয়া উঠিবে এবং ক্ষুধিতের ক্ষেত্রে অল্পের আশা অঙ্কুরিত হইয়া দুই চক্ষু জুড়াইয়া দিবে। মঙ্গলে পরিপূর্ণ সেই বিচিত্র সফলতার দিন বহুকাল প্রতীক্ষার পরে আজ ভারতবর্ষে দেখা দিয়াছে এই কথা নিশ্চয় জানিয়া আমরা সেন আনন্দে প্রস্থত হই । কিসের জন্য ? ঘর ছাড়িয়া মাঠের মধ্যে নামিবার জন্য, মাটি চষিবার জন্য, বীজ বুনিবার জন্য, তাহার পরে সোনার ফসলে যপন লক্ষ্মীর আবির্ভাব হইবে তখন সেই লক্ষ্মীকে ঘরে আনিয়া নিত্যোংসবের প্রতিষ্ঠা করিবার জন্ত । > ○)●
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।