পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট Jుe(t এইরূপ করিতাম বা ইহাদিগকেও ছাড়াইয়া যাইতাম । না, আমরা হইলে এরূপ कब्रिडांभ ना । हेशझे चांभां८मग्न नांख्न । व्षांभांzनब्र जबां८खव्र यांभां८मब्र १८र्वब्र যে-আদর্শ, আমাদের শাস্ত্রের যে-অস্থশাসন, আমাদের স্বভাবের যে-গতি, তাহাতে অক্ষমকে আমরা আত্মীয়শ্রেণীভূক্ত করিয়া লইতাম । আমরা ভিক্ষুককে, দুর্বলকে, প্রাচীনকে কখনো অবজ্ঞা করি নাই । রাজা এবং রাজকুটুম্ব ঠিক এক নহে, কিন্তু তবু রাজসম্পর্কের গন্ধ থাকিলেও কুটুম্বদের উৎপাত সহ করিতেই হয়। মৃচ্ছকটিকের রাজপ্তালকের কথা পাঠকগণ স্মরণ করিবেন। প্রভেদ এই যে, উক্ত কুটুম্ববর্গের সংখ্যা এখন অনেক বাড়িয়া গেছে। মৃচ্ছকটিকের সেই রাজপ্তালকটি যতই উপদ্রব করুক না কেন, প্রজাবর্গের কাছে তাহার সম্মান ছিল না—সকলেই তাহাকে উৎপাত বলিয়াও জানিত, অথচ তাহাকে মনে-মুখে পরিহাস-বিদ্রুপ করিতে ছাড়িত না। এখনকার রাজগুলিকগণের নিকট হইতে ঠিক সে-পরিমাণ হান্তরস আদায় কর কঠিন, কিন্তু তাহাজের ব্যবহারে তাহারা প্রত্যহ আমাদের কাছে যে-পরিমাণে সন্ত্রম হারাইতেছেন, তাহা যেন আমাদের মাথা তুলিবার সহায়তা করে। >>> o ঘুষাঘুষি গত বৈশাখমাসের বঙ্গদর্শনে "রাজকুটুম্ব’-শীর্ষক প্রবন্ধে নিয়ু ইণ্ডিয়ায় প্রকাশিত কোনো রচনার সমালোচনা করা হইয়াছিল। নিয়ু ইণ্ডিয়ার সম্পাদকমহাশয় আমাদিগকে ভুল বুঝিয়াছেন। তিনি স্থির করিয়াছেন, এক গালে চড় খাইয়া অন্ত গাল ফিরাইয়া দেওয়া যদি বা আমাদের মত না হয়, অন্তত অশ্রজলপ্রবাহে আহতগণ্ডের আঘাতবেদনার উপশমচেষ্টাই আমাদের মতে শ্রেয়। ইংরেজের ঘুষিঘাষা খাইয়া নাকিমুরে নালিশ করা এ-দেশে কিছুকাল পূর্বে অত্যন্ত অধিকমাত্রায় প্রচলিত ছিল। একটা কাককে ঢেলা মারিলে পৃথিবীস্বদ্ধ কাক যেমন চীৎকার করিয়া মরে, দেশী লোকের মার খাইবার খবরে আমাদের খবরের কাগজগুলি তেমনি করিয়া অবিশ্রাম বিলাপপরিতাপে আকাশ বিদীর্ণ করিত। আমরাই সর্বপ্রথমে 'সাধন।' পত্রিকায় এই নাকিকায়ার বিরুদ্ধে বারংবার আপত্তি উত্থাপন করিয়াছি—এবং কৰঞ্চিৎ ফললাভ করিয়াছি, তাহাও দেখা যাইতেছে । আজ হঠাৎ আত্মপ্রতিবাদের ষে কোনো কারণ ঘটিয়াছে, তাহা বোধ হয় না।