পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wye Vo রবীন্দ্র-রচনাবলী ছবিতে যেমন চৌকা জিনিসের চারিট পাশই একসঙ্গে দেখানো যায় না, তেমনি প্রবন্ধেও একসঙ্গে একটা বিষয়ের একটি, বড়োজোর, ছুইটি দিক দেখানো চলে । “রাজকুটুম্ব” প্রবন্ধেও আমাদের বক্তব্য বিষয় খুব ফলাও নহে। নিয়ু ইণ্ডিয়ার সম্পাদকমহাশয় যখন ভুল বুঝিয়াছেন, তখন সম্ভবত আমাদের রচনায় কোনো ক্রটি থাকিতে পারে। এবারে ছোটো করিয়া এবং স্পষ্ট করিয়া বলিবার চেষ্টা করিব। ভারতবর্ষে যে মারে এবং ষে মার খায়, এই দুই পক্ষের অবস্থা লইয়া আমরা কিঞ্চিৎ তত্ত্বালোচনা করিয়াছিলাম মাত্র। আমরা কোনো পক্ষকেই কর্তব্যসম্বন্ধে কোনো উপদেশ দিই নাই । s ষে লোক জলে পড়িয়াছে, ভাঙা হইতে তাহাকে ঢ়িল ছুড়িয়া মারা সহজ। অপরপক্ষের সে-মার ফিরাইয়া দেওয়া শক্ত। এরূপ স্থলে কোন পক্ষকে কাপুরুষ বলিব ? যে মারে, না ষে মার ফিরাইয়া দেয় না ? ইংরেজের পক্ষে ভারতববীয়কে মারা নিতাস্ত সহজ-কেবল তাহার গায়ে জোর আছে বলিয়া যে, তাহা নহে। সেও একটা কারণ বটে, কিন্তু সে-কারণকে উপেক্ষা করা যাইতে পারে। তাহার বাহুবল বেশি, কিন্তু তাহার পশ্চাতের বল আরও অনেক বেশি। তাহার দৃশ্বশক্তির সঙ্গে লড়াই চলে, কিন্তু তাহার অদৃশ্বশক্তি অত্যন্ত প্রবল । আমি যেমন একটি মানুষ, সে-ও যদি তেমনি একটি মানুষমাত্র হইত, তবে আমরা কতকটা সমকক্ষ হইতাম । কিন্তু এ-স্থলে আমি একটি ব্যক্তিমাত্র, আর সে ইংরেজ, সে রাজশক্তি । বিচারকালে, মানুষ বলিয়া আমার বিচার হইবে, আর তাহার বিচার হইবে ইংরেজ বলিয়া । আর, আমি যখন ইংরেজকে মারি, তখন বিচারক সেটাকে এই বলিয়া দেখে ষে, ভারতবর্ষের রাজশক্তিকে আমি আঘাত করিলাম, ইংরেজের প্রেষ্টিজকে জামি ক্ষুণ্ণ করিলাম—অতএব সামান্ত আঘাতকারী বলিয়া আমার বিচার হয় না। আমাদের মধ্যে এই গুরুতর অসমকক্ষতা আছে বলিয়াই যে মার খায়, তাহার চেয়ে ষে মারে, সেই কাপুরুষ বেশি। এই কাপুরুষতার জন্ত ইংরেজ আঘাতকারী ৰিচারে নিষ্কৃতি পাইয়াও যদি স্বজাতির কাছে ধিক্কারলাভ করিত, তাহ হইলে তাহাতেও আমরা একটু বল পাইতাম । কিন্তু দেখিতে পাই, উলট। তাহার বেশি করিয়া সোহাগ পাইয়া থাকে। তাহাদের জন্য চাদ ওঠে, স্বজাতীয় কাগজে জাহ-উছর অস্ত থাকে না। অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ায় এইরূপ কাপুরুষতার জন্ত কেবল প্রকাশ্নে ভিক্টোরিয়া ক্রস দেওয়া হয় না, এই পর্যন্ত ! गच्थठि ७क्छन cननै cणांकटक धून कब्रिड्रा भांकिँन बनिब्बा ७कखन हे९८बरबन्न