পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট কতদিন যখন মূল্য ছিল হাতে হাট জমে নি তখনো, বোঝাই নেীকো লাগল। যখন ডাঙায় তখন ঘণ্টা গিয়েছে বেজে, । ফুরিয়েছে বেচাকেনার প্রহর । অকালবসন্তে জেগেছিল ভোরের কোকিল। : ) গানে বসিয়েছি। সুর । যাকে শোনাব। তার চুল যখন হল বাধা, -বুকে উঠল জাফরানি রঙের আঁমাচল তখন বিকিমিকি বেলা, করুণ ক্লান্তি লেগেছে মুলতানে । ক্রমে ধূসর আলোর উপরে কালো মরচে পড়ে এল । , থেমে-যাওয়া গানখানি নিভে-যাওয়া প্ৰদীপের ভেলার মতো কিন্তু জ্বালানো হল না। আলো । । এ নিয়ে আজ নালিশ নেই। আমার । , বিরহের কালোগুহা ক্ষুধিত গহবর থেকে ঢেলে দিয়েছে ক্ষুভিত সুরের ঝর্না রাত্রিদিন । সাত রঙের ছটা খেলেছে তার নাচের উডনিতে নিশীথ-রাত্রের জপমন্ত্র ছন্দ পেয়েছে তার তিমিরপুঞ্জ কলোচ্ছল ধারায় । আমার তপ্ত মধ্যাহ্নের শূন্যতা থেকে উচ্ছসিত গৌড়-সারঙের আলাপ । আজ বঞ্চিত জীবনকে বলি সার্থক নিঃশেষ হয়ে এল। তার দুঃখের সঞ্চয় তার দক্ষিণা রয়ে গেল কালের বেদীপ্রান্তে । জীবনের পথে মানুষ যাত্রা করে নিজেকে খুঁজে পাবার জন্যে । গান যে-মানুষ গায়, দিয়েছে সে ধরা, আমার অন্তরে ; যে-মানুষ দেয় প্ৰাণ, দেখা মেলে নি তার । দেখেছি শুধু আপনার নিভৃত রূপ ছায়ায় পরিকীর্ণ, যেন পাহাড়তলিতে একখানা অনুত্তরঙ্গ সরোবর । S QS