পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ বৈশাখ ১৩৪৩ SOI is পত্রপুট ব্যুহ ভেদ ক’রে স্থান নিই নি যুধ্যমান দেবলোকের সংগ্রাম-সহকারিতায় । কেবল স্বপ্নে শুনেছি ডমরুর গুরুগুরু, কেবল সমরযাত্রীর পদপাতকম্পন মিলেছে হৎম্পন্দনে বাহিরের পথ থেকে । যুগে যুগে যে মানুষের সৃষ্টি প্রলয়ের ক্ষেত্রে স্নান হয়ে রইল। আমার সত্তায় ; শুধু রেখে গেলেম নতমস্তকের প্রণাম মানবের হৃদয়াসীন সেই বীরের উদেশে মৃত্যুর মূল্যে, দুঃখের দীপ্তিতে । (NSGKI হৃদয়ের অসংখ্য অদৃশ্য পত্রপুট গুচ্ছে গুচ্ছে অঞ্জলি মেলে আছে আমি-বনস্পতির এরা কিরণপিপাসু পল্লবস্তবক, এরা মাধুকরী-ব্ৰতীর দল । প্ৰতিদিন আকাশ থেকে এরা ভরে নিয়েছে নিহিত করেছে সেই অলক্ষ্য অপ্ৰজ্বলিত অগ্নিসঞ্চয় এই জীবনের গৃঢ়তম মজ্জার মধ্যে । সুন্দরের কাছে পেয়েছে অমৃতের কণা ফুলের থেকে, পাখির গানের থেকে, প্রিয়ার সম্পর্শ থেকে, প্ৰণয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে, আত্মনিবেদনের অশ্রাগদগদ আকুতি থেকেমাধুর্যের কত স্মৃতরূপ কত বিস্মৃতরূপ দিয়ে গেছে অমৃতের স্বাদ, আমার নাউীতে নাড়ীতে । নানা ঘাতে প্ৰতিঘাতে সংক্ষুব্ধ সুখদুঃখের ঝোড়ো হাওয়া নাড়া দিয়েছে আমার চিত্তের স্পশবেদনাবাহিনী পাতায় পাতায় । এসেছে লজার ধিক্কার, ভয়ের সংকোচ, কলঙ্কের গ্রানি, জীবনবহনের প্রতিবাদ । ܣܘܓ ܠ