পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S35s NSV9 যখন ক্ষণে ক্ষণে দুই-চারিটা কঠিন আঁটি যেন দৈবক্রমে বিক্ষিপ্ত হইয়া কাঠের দরজার উপর ঠিক রিয়া শব্দ করিয়া উঠিল তখন পাঠরত পুরুষটি মাথা তুলিয়া চাহিয়া দেখিল । মায়াবিনী বালিকা অহা হইল । পুরুষটি ভুকুঞ্চিত করিয়া বিশেষ চেষ্টাসহকারে নিরীক্ষণপূর্বক বালিকাকে চিনিতে পারিল এবং বই রাখিয়া জানলার কাছে উঠিয়া দাড়াইয়া হাস্যমুখে ডাকিল, “গিরিবালা ?” মৃদুগমনে আপন-মনে এক-এক পা করিয়া চলিতে লাগিল । তখন ক্ষীণদৃষ্টি যুবাপুরুষের বুঝতে বাকি রহিল না যে, কোনো-একটি অজ্ঞানকৃত অপরাধের দণ্ডবিধান হইতেছে । তাড়াতাড়ি বাহিরে আসিয়া কহিলেন, “কই, আজ আমাকে জাম দিলে না ?” গিরিবালা সে কথা কানো না আনিয়া বহু অন্বেষণ ও পরীক্ষায় একটি জমি মনোনীত করিয়া অত্যন্ত এই জামগুলি গিরিকলল্যাদের বাগানের জাম এবং যুবাপুরুষের দৈনিক বরাহ্ম । কী জানি, সে কথা কিছুতেই আজ গিরিবালার স্মরণ হইল না, তাহার ব্যবহারে প্রকাশ পাইল যে, এগুলি সে একমাত্র নিজের জন্যই আহরণ করিয়াছে । কিন্তু নিজের বাগান হইতে ফল পাডিয়া পরের দরজার সম্মুখে আসিয়া ঘটা করিয়া খাইবার কী অর্থ পরিষ্কার বুঝা গেল না ; তখন পুরুষটি কাছে আসিয়া তাহার হাত সহসা অশ্রািজলে ভাসিয়া কঁাদিয়া উঠিল, এবং আঁচলের জাম ভূতলে ছড়াইয়া ফেলিয়া দিয়া ছুটিয়া BuBBBB LLDY BB BLBLBL LYY BB BBDB LBDB C LBLBL BB BBB BBBBBTSS BqLTL নাই ; তদপেক্ষা শুরুতর এবং নিগৃঢ় প্রভেদও কিছু কিছু ছিল । এবেলাও বালিকা কী বিশেষ আবশ্যকে সেই বিশেষ স্থানে আসিয়া ইতস্তত করিতেছে বলা কঠিন । আর যাহাই আবশ্যক থাক, ঘরের ভিতরকার মানুষটির সহিত আলাপ করিবার যে আবশ্যক আছে ইহা কোনোমতেই বালিকার ব্যবহারে প্রকাশ পায় না । বরঞ্চ বোধ হইল সে দেখিতে আসিয়াছে, - সকালবেলায় যে জামশুল ফেলিয়া গেছে বিকালবেলায় তাহার কোনোটার অফুর বাহির হইয়াছে কি • ! কিন্তু অকুর না বাহির হইবার অন্যান্য কারণের মধ্যে একটি শুরুতর কারণ এই ছিল যে, ফলগুলি ইয়া কোনো একটা অনিৰ্দেশ্য কাল্পনিক পদার্থের অনুসন্ধানে নিযুক্ত ছিল তখন যুবক মনের হাস্য গোপন করিয়া অত্যন্ত গভীরভাবে একটি একটি জাম নির্বাচন করিয়া সযত্নে আহার করিতেছিল । পড়িল তখন গিরিবালা বুঝিতে পারিল, যুবক বালিকার অভিমানের প্রতিশোধ লইতেছে। কিন্তু এ কি উচিত ! যখন সে আপনার ক্ষুদ্র হৃদয়টুকুর সমস্ত গর্ব বিসর্জন দিয়া আত্মসমৰ্পণ করিবার অবসর খুঁজতেছে তখন কি তাহার সেই অত্যন্ত দুরূহ। পথে বাধা দেওয়া নিষ্ঠুরতা নহে। ধরা দিতে আসিয়াছে, এই কথাটা ধরা পড়িয়া বালিকা যখন ক্রমশ আরক্তিম হইয়া পলায়নের পথ অনুসন্ধান করিতে লাগিল **ণ ফুকক বাহিৱে আসিয়া তাহার হাত ধরিল।

  • কালবেলােকর মতো এবেলাও বালিকা আঁকিয়া বাকিয়া হাত ছাড়াইয়া পালাইবার বহু চেষ্টা *লি, কিন্তু কঁদিল না। বরঞ্চ রক্তবর্ণ হইয়া ঘাড় বাকাইয়া উৎপীড়নকারীর পৃষ্ঠদেশে মুখ লুকাইয়া