পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وسیط রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী সেই দালানের বাহির ঝোপে ; থামের মাথায় খোপে খোপে পায়রাগুলোর সারাটা দিন বকম-বকম | আঙিনাটার ভাঙা পাচিল, ফাটলে তার রকম-রকম লতাগুল্ম পড়ছে কুলে, হলদে সাদা বেগনি ফুলে আকাশ-পানে দিচ্ছে উকি । ছাতিমগাছের মরা শাখা পড়ছে বুকি শঙ্খমণির খালে, মাছরাঙারা দুপুরবেলায়। তন্দ্ৰানিঝুম কালে বিজ্ঞানীদের মতো । পানাপুকুর, ভাঙন ধরা ঘাট, অফলা এক চালতাগাছের চলে ছায়ার নাট । চক্ষু বুজে ছবি দেখি- কাৎলা ভেসেছে, বড়ো সাহেবের বিবিগুলি নাইতে এসেছে । ঝাউগুড়িটার পরে কাঠঠোকরা ঠিকঠকিয়ে কেবল প্রশ্ন করে । আগে কানে পৌছত না বিশ্ববিপোকার ডাক, এখন যখন পোড়ো বাড়ি দাড়িয়ে হতবাক ঝিল্লির বের তানপুরা-তান স্তব্ধতা-সংগীতে লেগেই আছে একঘেয়ে সুর দিতে । আঁধার হতে না হতে সব শেয়াল ওঠে ডেকে কলমদিঘির ডাঙা পাড়ির থেকে । পেচার ডাকে বাশের বাগান হঠাৎ ভয়ে জাগে, তন্দ্ৰা ভেঙে বুকে চমক লাগে । বাদুড়-কেরালা তেঁতুলগাছে মনে যে হয়। সত্যি, দাড়িওয়ালা আছে ব্ৰহ্মদত্যি । তাক ধুমাধুম বান্দ্যি বাজে । তখন ভাবি, একলা বসে দাওয়ার কোণে भCन्म-भ८न्म, <q \LNO <p\So SPSPC17CERS \Velor VUCOT পিারভু নাচে হাওয়ার তালে । শহর জুড়ে নামটা ছিল, যেদিন গেল ভাসি হলুম বনৰ্গাবাসী । সময় আমার গেছে বলেই সময় থাকে পড়ে, পুতুল গড়ার শূন্য বেলা কাটাই খেয়াল গ’ড়ে । সজনেগাছে হঠাৎ দেখি কমলাপুলির টিয়ে গোধূলিতে সুয্যিমামার বিয়ে , ,