পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8२ রবীন্দ্র-রচনাবলী কবির প্রবেশ দ্বিতীয় সৈনিক এ কী উলটোপালট ব্যাপার কবি । পুরুতের হাতে চলল না রথ, রাজার হাতে না— মানে বুঝলে কিছু ? কবি ওদের মাথা ছিল অত্যন্ত উচু, মহাকালের রথের চূড়ার দিকেই ছিল ওদের দৃষ্টি— নীচের দিকে নামল না চোখ, রথের দড়িটাকেই করলে তুচ্ছ। মানুষের সঙ্গে মানুষকে বঁধে যে বঁধন তাকে ওরা মানে নি। রাগী বাধন আজ উন্মত্ত হয়ে লেজ আছড়াচ্ছে— দেবে ওদের হাড় গুড়িয়ে । পুরোহিত । তোমার শূত্রগুলোই কি এত বুদ্ধিমান— ওরাই কি দড়ির নিয়ম মেনে চলতে পারবে । কবি পারবে না হয়তো । একদিন ওরা ভাববে, রথী কেউ নেই, রথের সর্বময় কর্তা ওরাই । দেখো, কাল থেকেই শুরু করবে চেচাতে— জয় আমাদের হাল লাঙল চরকা তাতের। তখন এরাই হবেন বলরামের চেলা— হলধরের মাতলামিতে জগৎট উঠবে টলমলিয়ে। পুরোহিত তখন যদি রথ আর-একবার অচল হয় বোধ করি তোমার মতো কবিরই ডাক পড়বে— তিনি ফু দিয়ে ঘোরাবেন চাকা ।