পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী বর্জন কোরো না মোরে উপেক্ষিত ভিক্ষুকের মতো । জীবনের শেষপাত্র উচ্ছলিয়া দাও পূর্ণ করি, দিনাস্তের সর্বদানযজ্ঞে যথা মেঘের অঞ্জলি পূর্ণ করি দেয় সন্ধ্যা, দান করি চরম আলোর অজস্ৰ ঐশ্বৰ্ষরাশি সমুজ্জল সহস্ররশ্মির— সর্বহর আঁধারের দস্থ্যবৃত্তি-ঘোষণার আগে । শাস্তিনিকেতন רסן • כן8 이 এ কী অকৃতজ্ঞতার বৈরাগ্যপ্রলাপ ক্ষণে ক্ষণে, বিকারের রোগীসম অকস্মাৎ ছুটে যেতে চাওয়া আপনার আবেষ্টন হতে । ধন্য এ জীবন মোর – এই বাণী গাব আমি, প্রভাতে প্রথম-জাগা পাখি যে স্বরে ঘোষণা করে আপনাতে আনন্দ আপন । দুঃখ দেখা দিয়েছিল, খেলায়েছি দুঃখনাগিনীরে ব্যথার বাশির স্বরে । নানা রন্ধে প্রাণের ফোয়ারা করিয়াছি উৎসারিত অস্তরের নানা বেদনায় । একেছি বুকের রক্তে মানসীর ছবি বারবার ক্ষণিকের পটে, মুছে গেছে রাত্রির শিশিরজলে, মুছে গেছে আপনার আগ্রহস্পর্শনে— তবু আজে৷ আছে তারা স্থম্মরেখা স্বপনের চিত্রশালা জুড়ে, আছে তারা অতীতের শুষ্কমাল্যগন্ধে বিজড়িত । কালের অঞ্জলি হতে ভ্ৰষ্ট কত অব্যক্ত মাধুরী রসে পূর্ণ করিয়াছে থরে থরে মনের বাতাস, প্রভাত-আকাশ যথা চেনা-অচেনার বহু স্বরে কৃজনে গুঞ্জনে ভরা। অনভিজ্ঞ নবকৈশোরের কম্পমান হাত হতে স্থলিত প্রথম বরমালা কণ্ঠে ওঠে নাই, তাই আজিও অক্লিষ্ট অমলিন