পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WO ob- রবীন্দ্র-রচনাবলী সতীশ প্রস্থানোমুখ অত ব্যস্ত হচ্ছ কেন— সবগুলো ভালো করে শুনেই যাও। আজও বুঝি ভাদুড়িসাহেবের রুটি বিস্কুট খেতে যাবার জন্য প্রাণ ছট্‌ফট্‌ করছে। খোকার জন্তে স্ট্র-হ্যাট এনে— আর তার রুমালও এক ডজন চাই । সতীশের প্রস্থান । তাহাকে পুনরায় ডাকিয়া শোনো সতীশ, আর-একটা কথা আছে। শুনলাম, তোমার মেসোর কাছ হতে তুমি নূতন স্কট কেনবার জন্য আমাকে না বলে টাকা চেয়ে নিয়েছ। যখন নিজের সামর্থ্য হবে তখন যত খুশি সাহেবিয়ানা কোরো, কিন্তু পরের পয়সায় ভাদুড়িসাহেবদের তাক লাগিয়ে দেবার জন্য মেসোকে ফতুর করে দিয়ে না। সে টাকাট অামাকে ফেরত দিয়ে । আজকাল আমাদের বড়ো টানাটানির সময় । সতীশ । আচ্ছা, এনে দিচ্ছি। স্বকুমারী। এখন তুমি দোকানে যাও, সেই টাকা দিয়ে কিনে বাকিটা ফেরত দিয়ে। একটা হিসাব রাখতে ভুলো না যেন । সতীশের প্রস্থানোদ্যম শোনো সতীশ, এই কটা জিনিস কিনতে আবার যেন আড়াই টাকা গাড়িভাড়া লাগিয়ে বোসো না। ওইজন্যে তোমাকে কিছু আনতে বলতে ভয় করে। দু পা হেঁটে চলতে হলেই অমনি তোমার মাথায় মাথায় ভাবনা পড়ে— পুরুষমানুষ এত বাৰু হলে তো চলে না। তোমার বাবা রোজ সকালে নিজে হেঁটে গিয়ে নতুন বাজার হতে কই মাছ কিনে আনতেন – মনে আছে তো ? মুটেকেও তিনি এক পয়সা দেন নি। সতীশ । তোমার উপদেশ মনে থাকবে – আমিও দেব না। আজ হতে তোমার এখানে মুটেভাড়া বেহারার মাইনে যত অল্প লাগে সে দিকে আমার সর্বদাই দৃষ্টি থাকবে । ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ হরেন। দাদা, তুমি অনেকক্ষণ ধরে ও কী লিখছ, কাকে লিখছ বলো-না। সতীশ । যা যা, তোর সে খবরে কাজ কী, তুই খেলা করগে যা। হরেন। দেখি-না কী লিখছ— আমি আজকাল পড়তে পারি। সতীশ । হরেন, তুই আমাকে বিরক্ত করিস নে বলছি— যা তুই । হরেন । ভয়ে আকার ভা, ল, ভাল, বয়ে আকার বা, সয়ে আকার সা,