পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\S)@bz রবীন্দ্র-রচনাবলী তাড়াতাড়ি হ’কাটি রাখিয়া মুদিকে সচকিত করিয়া একদৌড়ে সে দোকান হইতে বাহির হইয়া গেল। কিন্তু সে সন্ন্যাসীকে দেখা গেল না। তখন সন্ধ্যা অন্ধকার হইয়া আসিয়াছে। অপরিচিত স্থানে কোথায় যে সন্ন্যাসীর সন্ধান করিতে যাইবে তাহ সে ঠিক করিতে পারিল না। দোকানে ফিরিয়া আসিয়া মুদিকে জিজ্ঞাসা করিল, “ওই-ষে মস্ত বন দেখা যাইতেছে, ওখানে কী আছে।” মুদি কহিল, "এককালে ওই বন শহর ছিল কিন্তু অগস্ত্য মুনির শাপে ওখানকার রাজা প্রজা সমস্তই মড়কে মরিয়াছে। লোকে বলে ওখানে অনেক ধনরত্ব আজও খুজিলে পাওয়া যায় ; কিন্তু দিনদুপুরেও ওই বনে সাহস করিয়া কেহ যাইতে পারে না। যে গেছে সে আর ফেরে নাই।” মৃত্যুঞ্জয়ের মন চঞ্চল হইয়া উঠিল। সমস্ত রাত্রি মুদির দোকানে মাছরের উপর পড়িয়া মশার জালায় সর্বাঙ্গ চাপড়াইতে লাগিল, আর ওই বনের কথা, সন্ন্যাসীর কথা, সেই হারানো লিখনের কথা ভাবিতে থাকিল। বার বার পড়িয়৷ সেই লিখনটি মৃত্যুঞ্জয়ের প্রায় কণ্ঠস্থ হইয়া গিয়াছিল, তাই এই অনিদ্রাবস্থায় কেবলই তাহার মাথায় ঘুরিতে লাগিল— পায়ে ধরে সাধা । রা নাহি দেয় রাধা ॥ c*एष झिल द्रां, পাগোল ছাড়ো পা । } মাথা গরম হইয়া উঠিল— কোনোমতেই এই কটা ছত্র সে মন হইতে দূর করিতে পারিল না। অবশেষে ভোরের বেলায় যখন তাহার তন্দ্রা আসিল তখন স্বপ্নে এই চারি ছত্রের অর্থ অতি সহজে তাহার নিকট প্রকাশ হইল। ‘রা নাহি দেয় রাধা” অতএব রাধা’র 'র' না থাকিলে ‘ধা রহিল— শেষে লি রা, অতএব হইল ধারা’— পাগোল ছাড়ো পা’— ‘পাগোল’-এর ‘পা’ ছাড়িলে ‘গোল’ বাকি রহিল— অতএব সমস্তটা মিলিয়া হইল ধারাগোল’– এ জায়গাটার নাম তো ধারাগোল’ই বটে। স্বপ্ন ভাঙিয়া মৃত্যুঞ্জয় লাফাইয়া উঠিল। 8 সমস্ত দিন বনের মধ্যে ফিরিয়া সন্ধ্যাবেলায় বহুকষ্টে পথ খুজিয়া অনাহারে মৃতপ্রায় । अवशंग्र शृङ्छद्र थांटभ किब्रिज । *or পরদিন চাদরে চিড়া বাধিয়া পুনর্বার সে বনের মধ্যে যাত্রা করিল। অপরাহ্লে