পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারপ্তে 8¢ዓ পাহারা দাড়িয়ে আছে তর্জনী তুলে। উদভ্ৰান্ত পারস্ত আজ নিজের হাতে নিজেকে ফিরে পেয়েছে। জয় হোক রেজা শা পহলবীর । g এদের কাছে আর-একটা খবর পাওয়া গেল, দেশের টাকা বাইরে যেতে দেওয়৷ হয় না। বিদেশ থেকে যারা কারবার করতে আসে সমান মূল্যের জিনিস এখান থেকে না কিনলে তাদের মাল বিক্রি বন্ধ । আমদানি রফতানির মধ্যে অসাম্য না থাকে সেই দিকে দৃষ্টি। ہمیت-“ 8 আমার শরীর ক্লাস্ত তাই রাত্রের আহার কলা আমার ঘরে পাঠাবেন বলে এর ঠিক করেছিলেন। রাজি হলুম না। বাগানে গাছতলায় দীপের আলোকে সকলের সঙ্গে খেতে বসলুম। এখানকার দেশী ভোজ্য। পোলাও কাবাব প্রভৃতিতে আমাদের দেশের মোগলাই থানার সঙ্গে বিশেষ প্রভেদ দেখা গেল না। ক্লাস্ত শরীরে শুতে গেলুম। যথারীতি ভোরের বেলায় প্রস্তুত হয়ে যখন দরজা খুলে দিয়েছি তখন দুটি-একটি পাখি ডাকতে আরম্ভ করেছে। যাত্রা যখন আরম্ভ হল তখন বেলা সাড়ে-সাতটা । বাইরে আফিমের খেতে ফুল ধরেছে। গেটের সামনে পথের ও পারে দোকান খুলেছে সবেমাত্র। সুন্দর স্নিগ্ধ সকালবেল। বঁ। ধারে নিবিড় সবুজবর্ণ দাড়িমের বন— গমের খেত, তাতে নতুন চার উঠেছে। এ বৎসর দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে ফসলে তেজ নেই, তবু এ জায়গাটি তৃণে গুন্মে রোমাঞ্চিত । 蠍 উপলবিকীর্ণ পথে ঠোকর খেতে খেতে গাড়ি চলেছে। উচু পাহাড়ের পথ অপেক্ষাকৃত নিম্নভূমিতে এসে নামল। অন্যত্র সাধারণত নগরের কিছু আগে থাকতেই তার উপক্রমণিকা দেখা যায়, এখানে তেমন নয়, শূন্ত মাঠের প্রান্তে অকস্মাং শিরাজ বিরাজমান। মাটির তৈরি পাচিলগুলোর উপর থেকে মাঝে মাঝে চোখে পড়ল পপলার কমলালেবু চেস্ট নাট এলম্ গাছের মাথা । • শিরাজের গবর্নর আমাকে সমারোহ করে নিয়ে গেলেন এক বড়ো বাড়িতে সভাগৃহে। কার্পেট-পাতা মস্ত ঘর। দুই প্রাস্তের দেয়াল-বরাবর অভ্যাগতের বসেছেন, তাদের সামনে ফলমিষ্টান্নসহযোগে চায়ের সরঞ্জাম ছোটো ছোটো টেবিলে সাজানো । এখানে শিরাজের সাহিত্যিকদল ও নানা শ্রেণীর প্রতিনিধির উপস্থিত। শিরাজনাগরিকদের হয়ে একজন যে অভিবাদন পাঠ করলেন তার মর্ম এই— শিরাজ শহর । ছুটি চিরজীবী মানুষের গৌরবে গৌরবান্বিত। তাদের চিত্তের পরিমণ্ডল তোমার