পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& e8 রবীন্দ্র-রচনাবলী t দূর যুগ হতে আসে কত বাণী কালের পথের যাত্রী, সে মহাবাণীরে লয় সম্মানি তোমার দিবসরাত্রি। সম্মুখে তব গেছে দূর-পানে জীবযাত্রার পন্থ, তুমি সেথা চল— বলে। কেবা জানে এ রহস্যের অন্ত । २२|७|७8 —জয়শ্ৰী। বৈশাখ ১৩৪১ ১৮-সংখ্যক কবিতাটির প্রসঙ্গে রবীন্দ্রসদনে-রক্ষিত বর্ষামঙ্গল’ পাণ্ডুলিপির নিম্নসংকলিত উপসংহারের অংশ তুলনীয়— নটরাজ। পালার শেষে শাস্তিবাচনিকের নিয়ম আছে । আজ বিষধর নাগিনীর জগতের চার দিকে ফণা তুলে গর্জন করছে। আজ শাস্তির কথা পরিহাসের মতো শোনাবে। তাই উপসংহারে ডাক দিয়ে যাই তাদের, অকল্যাণের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্যে যারা প্রস্তুত । רסיס לץ ] সে জুতি ‘সেঁজুতি' ১৩৪৫ সালের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রসদনের পাণ্ডুলিপির সাহায্যে বর্তমান সংস্করণে কয়েকটি কবিতার রচনাতারিখ সংশোধিত ও সংযোজিত হইয়াছে। গ্রন্থারম্ভের জন্মদিন’ কবিতাটি ১৩৪৫ সালের ২৫ বৈশাখ সন্ধ্যায় কালিম্পঙে গৌরীপুরভবন হইতে রবীন্দ্রনাথ তাহার জন্মবাসর উপলক্ষে রেডিয়োতে পাঠ করিয়াছিলেন । ‘পত্রোত্তর’ কবিতাটি স্বরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত মহাশয়ের প্রেরিত 'কবি নারদ ( প্রবাসী। আষাঢ় ১৩৪৫ ) কবিতার উত্তরে লিখিত । i. পলায়নী’ কবিতাটির প্রথম দুইটি স্তবক ১৩৪৪ জ্যৈষ্ঠের প্রবাসীতে অনুরূপ মুদ্রিত হইয়াছিল। প্রথম স্তবকের শেষাংশ ও দ্বিতীয় স্তবকের আরম্ভাংশ ‘সেঁজুতি'র পাঠে বজিত হইয়াছে। সেই বজিত অংশ নিম্নে প্রবাসী হইতে উদ্ভূত হইল -- পলায়নভীরু পুরী দিনরাত তোমার সমুখে জোড় করে হাত, বাধা ঘাটে ঘাটে রচে প্ৰণিপাত, মাথা হেঁট করে তীরে ।