পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 রবীন্দ্র-রচনাবলী পরিত্যক্ত এক বলি ভাবিতেছে, পাবে বুঝি দূরে সংসারের গ্লানি ফেলে স্বৰ্গ-ঘেষা দুর্মুল্য কিছুরে । হায়, সেই কিছু যাবে ওর আগে আগে প্রেতসম, ও চলিবে পিছু ক্ষীণালোকে, প্রতিদিন ধরি-ধরি করি তারে অবশেষে মিলাবে অঁাধারে । আলমোড়া ר סיס ל גs S C নতুন কাল কোন সে কালের কণ্ঠ হতে এসেছে এই স্বর— 'এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা, মধ্যিখানে চর।” অনেক বাণীর বদল হল, অনেক বাণী চুপ, নতুন কালের নটরাজা নিল নতুন রূপ। তখন যে-সব ছেলেমেয়ে শুনেছে এই ছড়া তারা ছিল আর-এক ছাদে গড়া। প্রদীপ তারা ভাসিয়ে দিত পূজা আনত তীরে, কী জানি কোন চোখে দেখত মকরবাহিনীরে। তখন ছিল নিত্য অনিশ্চয়, ইহকালের পরকালের হাজার-রকম ভয় । জাগত রাজার দারুণ খেয়াল, বর্গি নামত দেশে, ভাগ্যে লাগত ভূমিকম্প হঠাৎ এক নিমেষে। ঘরের থেকে খিড়কিম্বাটে চলতে হত ডর, লুকিয়ে কোথায় রাজদস্থ্যর চর। আঙিনাতে শুনত পালাগান, বিনা দোষে দেবীর কোপে সাধুর অসন্মান। সামান্ত ছুতায় ঘরের বিবাদ গ্রামের শক্রতায়