পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় १९(t আদানপ্রদান চলে এসেছে, যতদিন-না এশিয়া তন্দ্রাবেশে আত্মবিশ্বত হয়ে পড়ল । অবশেষে দেখা গেল নবজাগরণের আলোকরশ্মি। এই মহাদেশের অন্তরের মধ্যে একটা স্পন্দমান জীবনের কম্পন ক্রমেই যেন নিবিড় আত্মোপলব্ধির মধ্যে স্থপরিস্ফুট হয়ে উঠছে। এই পুণ্য মুহূর্তে আজ আমি কবি তোমাদের কাছে এসেছি নবযুগের শুভ্রপ্রভাত ঘোষণা করতে, তোমাদের দিগন্তের অন্ধকার ভেদ করে যে আলোক ফুটে উঠেছে সেই আলোককে অভিনন্দন করতে— আমার জীবনের মহৎ সৌভাগ্য, আজ তোমাদের কাছে এলেম । জয় হোক ইরানের ! ইরান-সম্রাট রেজা শী পহলবী দীর্ঘজীবী হোন ! পারস্ত-সম্রাটের উত্তর জনাব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আমরা আপনার টেলিগ্রাম দেখেছি। আপনি পারস্যপ্রবাসে তৃপ্ত হয়েছেন এতে আমরা সুখী হয়েছি। আপনার এই প্রতিবেশী দেশটিতে যদি আরো কিছুকাল থাকতে পারতেন তো আরো খুশি হতেম এবং প্রাচ্যের প্রতি আপনার অস্তরের প্রীতি আরো নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে পেয়ে আরো উপকৃত হতেম। আপনি আমাদের সম্বন্ধে যে সাধুবাদ করেছেন তা আমরা কখনো ভুলব না। রেজা শা বোগদাদ মুনিসিপালিটি-কর্তৃক মুনিসিপাল-উদ্যানে কবি-সংবর্ধন উপলক্ষে কবির বক্তৃত৷ ইরাক-সম্রাটের সাদর নিমন্ত্রণে আজ যে আমি ইরাকের প্রাচীন ও বিরাট সভ্যতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সংস্পর্শে আসবার সুযোগ পেলেম সেজন্ত সম্রাটকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি । আজ যখন এই প্রাচীন জাতি নবজন্ম লাভ করছে, যখন স্বষ্টির একটা অদম্য বেগ এর চিত্তকে সুস্পষ্ট আত্মপ্রকাশের গরিমা ও মুক্তির পরিপূর্ণ সার্থকতার মধ্যে পরিণত করে তুলছে, তখন এখানে উপস্থিত থাকতে পারাটা আমার জীবনের সত্যই একটা বড়ো অনুপ্রেরণার বিষয় । এখানকার বাতাসে আমি অনুভব করছি যৌবনের সেই উদ্দীপনা যা সমস্ত এশিয়া মহাদেশকে আজ নবযুগের নূতন প্রতিষ্ঠালাভের জন্য ব্যাকুল করে তুলছে। २२||७ (t