পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেঁজুতি গুপ্ত চালের লড়াই যেত লেগে, শক্তিমানের উঠত গুমর জেগে । হারত ষে তার ঘূচত পাড়ায় বাস, ভিটেয় চলত চাষ । ধর্ম ছাড়া কারে নামে পড়বে ষে দোহাই ছিল না সেই ঠাই । ফিসফিসিয়ে কথা কওয়া, সংকোচে মন ঘেরা, গৃহস্থবউ, জিব কেটে তার হঠাৎ পিছন-ফেরা— আলতা পায়ে, কাজল চোখে, কপালে তার টিপ, ঘরের কোণে জালে মাটির দীপ । মিনতি তার জলে স্থলে, দোহাই-পাড়া মন, অকল্যাণের শঙ্কা সারাক্ষণ । আয়ুলাভের তরে বলির পশুর রক্ত লাগায় শিশুর ললাট-’পরে । রাত্রিদিবস সাবধানে তার চলা, অশুচিতার ছোয়াচ কোথায় যায় না কিছুই বলা । ও দিকেতে মাঠে বাটে দস্থ্যরা দেয় হানা, এ দিকে সংসারের পথে অপদেবতা নানা । জানা কিম্বা না-জানা সব অপরাধের বোঝা, ভয়ে তারই হয় না মাথা সোজা । এরই মধ্যে গুনগুনিয়ে উঠল কাহার স্বর— ‘এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা, মধ্যিখানে চর।” সেদিনও সেই বইতেছিল উদার নদীর ধারা, ছায়া-ভাসান দিতেছিল সাজ-সকালের তারা । হাটের ঘাটে জমেছিল নেীকো মহাজনি, রাত না যেতে উঠেছিল দাড়-চালানো ধ্বনি । শাস্ত প্রভাতকালে সোনার রৌদ্র পড়েছিল জেলেডিঙির পালে। 86.