পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র রচনাবলী সমুদ্র কিসের অশাস্তি এই মহাপারাবারে, সতত ছিড়িতে চাহে কিসের বন্ধন । অব্যক্ত অক্ষুট বাণী ব্যক্ত করিবারে শিশুর মতন সিন্ধু করিছে ক্ৰন্দন । যুগযুগান্তর ধরি যোজন যোজন ফুলিয়া ফুলিয়া উঠে উত্তাল উচ্ছ্বাস : অশাস্ত বিপুল প্রাণ করিছে গর্জন, নীরবে শুনিছে তাই প্রশাস্ত আকাশ । আছাড়ি চুণিতে চাহে সমগ্র হৃদয় কঠিন পাষাণময় ধরণীর তীরে, জোয়ারে সাধিতে চায় আপন প্রলয়, ভাটায় মিলাতে চায় আপনার নীরে। অন্ধ প্রকৃতির হৃদে মৃত্তিকায় বাধা সতত দুলিছে ওই অশ্রীর পাথার, উন্মুখী বাসনা পায় পদে পদে বাধ, কাদিয়া ভাসাতে চাহে জগৎ-সংসার । সাগরের কণ্ঠ হতে কেড়ে নিয়ে কথা সাধ যায় ব্যক্ত করি মানব-ভাষায় ; শাস্ত করে দিই ওই চির ব্যাকুলত, সমুদ্র-বায়ুর ওই চির হায় হায় । সাধ যায় মোর গীতে দিবস-রজনী ধ্বনিতে পৃথিবী-ঘেরা সংগীতের ধ্বনি ॥