পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br8 রবীন্দ্র-রচনাবলী অরাজকতা উপস্থিত হইল—চুরিডাকাতির শেষ নাই, ষে যাহা পায় লুঠ করিয়া লয়। মুসলমানের দল বাধিয়া ডাকাতি আরম্ভ করিল। তাহারা পীড়িতদিগকে শয্যা হইতে টানিয়া ফেলিয়া দিয়া তক্ত মাছর ৰিছানা পর্যন্ত হরণ করিয়া লইয়া যাইত। বিৰন প্রাণপণে তাহাদিগকে নিবারণ করিতে লাগিলেন। বিৰনের কথা তাহারা অত্যন্ত মান্ত করিত-লঙ্ঘন করিতে সাহস করিত না । এইরূপে বিখন যথাসাধ্য গ্রামের শান্তিরক্ষা করিতেন । এক দিন সকালে বিশ্বনের এক চেলা আসিয়া তাহাকে সংবাদ দিল যে, একটি ছেলে সঙ্গে লইয়া এক জন বিদেশী গ্রামের অশথতলায় আশ্রয় লইয়াছে, তাহাকে মড়কে ধরিয়াছে, বোধ করি সে আর বঁাচিবে না। বিশ্বন দেখিলেন, কেদারেশ্বর অচেতন হইয়া পড়িয়া, ধ্রুব ধুলায় শুইয়া ঘুমাইয়া আছে। কেদারেশ্বরের মুমূর্ষ অবস্থা —পথকষ্টে এবং অনাহারে সে দুর্বল হইয়াছিল, এইজন্য পীড়া তাহাকে বলপূর্বক আক্রমণ করিয়াছে, কোনো ঔষধে কিছু ফল হইল না, সেই বৃক্ষতলেই তাহার মৃত্যু হইল। ধ্রুবকে দেখিয়া বোধ হইল যেন অনাহারে ক্ষুধায় কাদিয়া কাদিয়া সে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। বিখন অতি সাবধানে তাহাকে কোলে তুলিয়া তাহার শিশুশালায় লইয়া গেলেন। দ্বাচতুরিংশ পরিচ্ছেদ চট্টগ্রাম এখন আরাকানের অধীন। গোবিন্দমাণিক্য নির্বাসিতভাবে চট্টগ্রামে আসিয়াছেন শুনিয়া আরাকানের রাজা মহাসমারোহপূর্বক তাহার নিকট দূত প্রেরণ করিলেন। বলিয়া পাঠাইলেন, যদি সিংহাসন পুনরায় অধিকার করিতে চান, তাহা হইলে আরাকানপতি তাহাকে সাহায্য করিতে পারেন। গোবিন্দমাণিক্য কহিলেন, “না আমি সিংহাসন চাই না।” দূত কহিল, “তবে আরাকান-রাজসভায় পূজনীয় অতিথি হইয়া মহারাজ কিছু কাল বাস করুন।” রাজা কহিলেন, “আমি রাজসভায় থাকিব না। চট্টগ্রামের এক পার্থে আমাকে नृशांन मांन कब्रिएल श्रांभि बांब्रांकांमब्रांटछद्र निकछै शनैौ झहेम्न थांकिय ।* 瞄 দূত কহিল, “মহারাজের যেখানে অভিরুচি সেইখানেই থাকিতে পারেন। এ সমস্ত আপনারই রাজ্য মনে করিবেন।”