পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8వెB ब्रदौटश-ब्रळ्नांबलौ। সেই রাত্রেই হতভাগ্য স্বজা এবং তাহার জামাতা সপরিবারে দ্রুতগামী নৌকায় চড়িয়া ঢাকায় পলায়ন করিলেন । মীরজুমলা ঢাকায় স্বজার অনুসরণ করা আবশ্বক বিবেচনা করিলেন না। তিনি বিজিত দেশে শৃঙ্খলা স্থাপনে প্রবৃত্ত হইলেন । দুর্দশার দিনে বিপদের সময় যখন বন্ধুরা একে একে বিমুখ হইতে থাকে তখন মহম্মদ ধন প্রাণ মান তুচ্ছ করিয়া স্বজার পক্ষাবন্ধন করাতে স্থজার হৃদয় বিগলিত হইয়া গেল । তিনি প্রাণের সহিত মহম্মদকে ভালোবাসিলেন । এমন সময়ে ঢাকা শহরে ঔরংজীবের এক জন পত্রবাহক চর ধরা পড়িল । স্বজার হাতে তাহার পত্র গিয়া পড়িল । ঔরংজীৰ মহম্মদকে লিখিতেছেন, “প্রিয়তম পুত্র মহম্মদ, তুমি তোমার কর্তব্য অবহেলা করিয়া পিতৃবিদ্রোহী হইয়াছ, এবং তোমার অকলঙ্ক যশে কলঙ্ক নিক্ষেপ করিয়াছ রমণীর ছলনাময় হাস্তে মুগ্ধ হইয় আপন ধর্ম বিসর্জন দিয়াছ । ভবিষ্যতে সমস্ত মোগল-সাম্রাজ্য শাসনের ভার র্যাহার হস্তে, তিনি আজ এক রমণীর দাস হইয়া আছেন । যাহা হউক, ঈশ্বরের নামে শপথ করিয়া মহম্মদ যখন অনুতাপ প্রকাশ করিয়াছেন, তখন র্তাহাকে মাপ করিলাম । কিন্তু যে কার্ধের জন্ত গিয়াছেন সেই কার্য সাধন করিয়া আসিলে তবে তিনি আমাদের অনুগ্রহের অধিকারী হইবেন ।” স্বজা এই পত্র পাঠ করিয়া বজাহত হইলেন। মহম্মদ বার বার করিয়া বলিলেন, তিনি কখনোই পিতার নিকটে অনুতাপ প্রকাশ করেন নাই। এ সমস্তই তাহার निङांद्र ८कौनल । किरू श्छद्र गहन्मह मूत्र इङ्गेन न । श्छा उिन निन शब्रिव्रा फिखा করিলেন । অবশেষে চতুর্থ দিনে কহিলেন, “বংস, আমাদের মধ্যে বিশ্বাসের বন্ধন শিথিল হইয়াছে। অতএব আমি অনুরোধ করিতেছি, তুমি তোমার স্ত্রীকে লইয়া প্রস্থান করে, নহিলে আমাদের মনে আর শাস্তি থাকিবে না। আমার রাজকোষের দ্বার মুক্ত করিয়া দিলাম, শ্বশুরের উপহারস্বরূপ যত ইচ্ছা ধনরত্ব লইয়া যাও।” মহম্মদ অশ্রুবিসর্জন করিয়া বিদায় লইলেন, তাহার স্ত্রী তাহার সঙ্গে গেলেন । স্বজা কহিলেন, “আর যুদ্ধ করিব না। চট্টগ্রামের বন্দর হইতে জাহাজ লইয়া মক্কায় চলিয়া যাইব ।” বলিয়া ঢাকা ছাড়িয়া ছদ্মবেশে চলিয়া গেলেন।