পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€२8 রবীজ-রচনাবলী পাইব । আমাদের যে অল্প একটু বায়ু আছে, সভার নিয়ম রচনা করিতে ও ৰকৃতা बिरङझे डांहीं निःtव्यिबिड झझेब्रां यांच्च । মহৎ আশা, মহৎ ভাব, মহৎ উদ্বেশুকে সাবধান বিষয়ী লোকেরা বাম্পের স্তায় জ্ঞান করেন। কিন্তু এই বাম্পের বলেই উন্নতির জাহাজ চলিতেছে, এই বাষ্পকে খাটাইতে হইবে, এই বায়ুকে পালে আটক করিতে হইবে। এমন তুমুল শক্তি আর কোথায় আছে। আমাদের দেশে এই বাম্পের অভাব বায়ুর অভাব । আমরা উন্নতির পালে একটুখানি ফু দিতেছি, যতখানি গাল ফুলিতেছে ততখানি পাল ফুলিতেছে না । বৃহৎ ভাবের নিকটে আত্মবিসর্জন করাকে যদি পাগলামি বলে তবে সেই পাগলামি এক কালে প্রচুর পরিমাণে আমাদের ছিল। ইহাই প্রকৃত বীরত্ব। কর্তব্যের অমুরোধে রাম যে রাজ্য ছাড়িয়া বনে গেলেন তাহাই বীরত্ব, এবং সীতা ও লক্ষণ ষে র্তাহাকে অনুসরণ করিলেন, তাহাও বীরত্ব । ভরত যে রামকে ফিরাইয়া আনিতে গেলেন, তাহা বীরত্ব, এবং হুকুমান যে প্রাণপণে রামের সেবা করিয়াছিলেন, তাহাওঁ বীরত্ব । হিংসা অপেক্ষ ক্ষমায় যে অধিক বীরত্ব, গ্রহণের অপেক্ষ ত্যাগে অধিক বীরত্ব, এই কথাই আমাদের কাব্যে ও শাস্ত্রে বলিতেছে। পালোয়ানিকে আমাদের দেশে সর্বাপেক্ষা বড়ো জ্ঞান করিত না । এইজন্ত বাল্মীকির রাম রাবণকে পরাজিত कब्रिब्राहे क्रांखि इन नाहे, ब्रांवल८क क्रभा कब्रिब्राह्छ्न । ब्रांभ ब्रांद१८क छूझे बfग्न छग्न করিয়াছেন। এক বার বাণ মারিয়া, এক বার ক্ষমা করিয়া। কবি বলেন, তন্মধ্যে শেষের জয়ই শ্রেষ্ঠ । হোমরের একিলিস পরাভূত হেক্টরের মৃতদেহ ঘোড়ার লেজে বাধিয়া শহর প্রদক্ষিণ করিয়াছিলেন, রামে একিলিসে তুলনা করো। যুরোপীয় মহাকবি হইলে পাণ্ডবদের যুদ্ধজয়েই মহাভারত শেষ করিতেন, কিন্তু আমাদের ব্যাস বলিলেন, রাজ্য গ্রহণ করায় শেষ নহে রাজ্য ত্যাগ করায় শেষ । যেখানে সব শেষ তাহাই আমাদের লক্ষ্য ছিল । কেবল তাহাই নহে, আমাদের কবির পুরস্কারেরও লোভ দেখান নাই। ইংরেজের য়ুটিলিটেরিয়ান কতকটা দোকানদার, তাই তাহাজের শাস্ত্রে পোয়েটিক্যাল জাক্টিস নামক একটা শব্দ আছে, তাহার অর্থ দেনাপাওনা, সৎকাজের দয়-দাম করা । আমাদের সীতা চিরন্থঃখিনী, রাম-লক্ষণের জীবন দুঃখে কষ্টে শেষ হইল। এত বড়ো অজুনের বীরত্ব কোথায় গেল, অবশেষে স্বাদল জাসিয়া তাহার । নিকট হইতে যাদব-রমণীদের কাড়িয়া লইয়া গেল, তিনি গাওঁীৰ তুলিতে পারিলেন না। পঞ্চপাওবের সমস্ত জীবন দারিত্র্যে দুঃখে শোকে অরণ্যে কাটিয়া গেল, শেষেই বা কী স্বখ পাইলেন । হরিশ্চন্দ্র যে এত কষ্ট পাইলেন, এত ত্যাগ করিলেন, অবশেষে কৰি