পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te o রবীন্দ্র-রচনাবলী সেখান হইতে একটা সরু স্বরের সানাই এবং গোটাকতক ঢাকঢোলের শর্জ শোনা গেল । সানাই অত্যন্ত বেম্বরে একটা মেঠো রাগিণীর আরম্ভ-অংশ বারংবার ফিরিয়া ফিরিয়া নিষ্ঠুরভাবে বাজাইতেছে এবং ঢাকঢোলগুলা যেন অকস্মাৎ বিনা কারণে খেপিয়া উঠিয়া বায়ুরাজ্য লগুভও করিতে উদ্যত হইয়াছে । , স্রোতস্বিনী মনে করিল, নিকটে কোথাও বুঝি একটা বিবাহ আছে। একান্ত ८कोछूश्नडरब बांडाइन श्रङ भूष बांश्द्रि कब्रिध्ना उक्रनमाक्रद्र उँौद्रद्र निष्क ७९शक দৃষ্টি চালনা করিল। আমি ঘাটেবাধা নৌকার মাঝিকে জিজ্ঞাসা করিলাম,—কী রে, বাজনা কিসের ? সে কহিল,—আজ জমিদারের পুণ্যাহ। পুণ্যাহ বলিতে বিবাহ বুঝায় না শুনিয়া স্রোতস্বিনী কিছু ক্ষুণ্ণ হইল। সে ঐ তরুচ্ছায়াঘন গ্রাম্য পথটার মধ্যে কোনো এক জায়গায় ময়ুরপংখিতে একটি চন্দনচচিত অজাতশ্মশ্র নব বর অথবা লজ্জামণ্ডিত রক্তাস্বরা নববধূকে দেখিবার প্রত্যাশা করিয়াছিল । আমি কহিলাম,—পুণ্যাহ অর্থে জমিদারি বংসরের আরম্ভ-দিন । আজ প্রজারা যাহার যেমন ইচ্ছা কিছু কিছু খাজনা লইয়া কাছারি-ঘরে টোপর-পরা বরবেশধারী নায়েবের সম্মুখে আনিয়া উপস্থিত করিবে। সে-টাক সেদিন গণনা করিবার নিয়ম নাই। অর্থাৎ খাজনা দেনা-পাওনা যেন কেবলমাত্র স্বেচ্ছাকৃত একটা আনন্দের কাজ । ইহার মধ্যে এক দিকে নীচ লোভ অপর দিকে হীন ভয় নাই। প্রকৃতিতে তরুলতা যেমন আনন্দ-মহোৎসবে বসন্তকে পুষ্পাঞ্জলি দেয় এবং বসন্ত তাহ সঞ্চয়ইচ্ছায় গণনা করিয়া লয় না সেইরূপ ভাবটা আর কি । দীপ্তি কহিল,—কাজটা তো খাজনা আদায়, তাহার মধ্যে আবার বাজনাবাদ্য কেন ? 酶 ক্ষিতি কহিল,—ছাগশিশুকে যখন বলিদান দিতে লইয়া যায় তখন কি তাহাকে भाणां *ब्राहेञ्च वांछनी वांछांब्र न । चांज थांछन-८मवैौत्र निकट बनिनांटनब्र बांछ বাজিতেছে । * আমি কহিলাম,—সে হিসাবে দেখিতে পায় বটে, কিন্তু বলি যদি দিতেই হয় তবে নিতান্ত পশুর মতো পশুহত্যা না করিয়া উহার মধ্যে যতটা পারা যায় উচ্চভাৰ ब्रांथfहे छांटलां । ক্ষিতি কছিল,—আমি তো বলি যেটার বাহা সত্য ভাৰ তাহাই লক্ষ্য করা ভালো ; অনেক সময়ে নীচ কাজের মধ্যে উচ্চ ভাব আরোপ করিয়া উচ্চ ভাৰকে নীচ করা হয় ।