পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৯৮

N QQb" রবীন্দ্র-রচনাবলী নরনারী সমীর এক সমস্ত উত্থাপিত করিলেন, তিনি বলিলেন,—ইংরেজি সাহিত্যে গষ্ঠ অথবা পষ্ঠ কাব্যে নায়ক এবং নায়িকা উভয়েরই মাহাত্ম্য পরিস্ফুট হইতে দেখা যায়। ডেস্ডিমোনার নিকট ওথেলো এবং ইয়াগো কিছুমাত্র হীনপ্রভ নহে, ক্লিয়োপাট্র আপনার শু্যামল বঙ্কিম বন্ধনজালে অ্যান্টনিকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছে বটে, কিন্তু তথাপি লতাপাশবিজড়িত ভয় জয়ন্তম্ভের স্তায় অ্যান্টনির উচ্চতা সর্বসমক্ষে দৃপ্তমান রহিয়াছে। লামামুরের নায়িকা আপনার সকরুণ সরল স্বকুমার সৌন্দৰে যতই আমাদের মনোহরণ করুক না কেন, রেভন ডের বিষাদঘনঘোর নায়কের নিকট হইতে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া লইতে পারে না। কিন্তু বাংলা সাহিত্যে দেখা যায় নায়িকারই প্রাধান্ত । কুন্দনন্দিনী এবং স্বৰ্ধমুখীর নিকট নগেন্দ্র মান হইয়া আছে, রোহিণী এবং ভ্রমরের নিকট গোবিন্দলাল অদৃপ্তপ্রায়, জ্যোতিময়ী কপালকুণ্ডলার পার্থে নবকুমার ক্ষীণতম উপগ্রহের ন্যায়। প্রাচীন বাংলা কাব্যেও দেখো। বিদ্যান্থন্দরের মধ্যে সজীব মূর্তি যদি কাহারও থাকে তবে সে কেবল বিস্কার ও মালিনীর, স্বন্দরচরিত্রে পদার্থের লেশমাত্র নাই। কবিকঙ্কণ-চণ্ডীর স্ববৃহৎ সমভূমির মধ্যে কেবল ফুল্পর এবং খুল্পনা একটু নড়িয়া বেড়ায়, নতুবা ব্যাধটা একটা বিকৃত বৃহৎ স্বাণুমাত্র এবং ধনপতি ও র্তাহার পুত্র কোনো কাজের নহে। সৰ্বসাহিত্যে পুরুষ মহাদেবের স্থায় নিশ্চল ভাবে ধূলিশয়ান এবং রমণী তাহার বক্ষের উপর জাগ্রত জীবন্ত তাৰে বিরাজমান ইহার কারণ কী । সমীরের এই প্রশ্নের উত্তর শুনিবার জন্ত স্রোতস্বিনী অত্যন্ত কৌতুহলী হইয়া উঠিলেন এবং দীপ্তি নিতান্ত অমনোযোগের ভান করিয়া টেবিলের উপর একটা গ্রন্থ খুলিয়া তাহার প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করিয়া রাখিলেন। ক্ষিতি কহিলেন,—তুমি বঙ্কিমৰাবুর ষে কয়েকখানি উপন্যাসের উল্লেখ করিয়াছ সকলগুলিই মানগপ্রধান, কার্বপ্রধান নহে। ওর্নের্লজগতে স্ত্রীলোকের প্রভাৰ জৰিক, কার্বজগতে পুরুষের প্রভূত্ব। যেখানে কেবলমাত্র হৃদয়বৃত্তির কথা সেখানে পুরুষ স্ত্রীলোকের সহিত পারিয়া উঠিবে কেন। কার্ধক্ষেত্রেই তাহার চরিত্রের যথার্থ विकांनं झग्र । 4. দীপ্তি জার থাকিতে পারিল না—গ্রন্থ ফেলিয়া এবং ঔদাসীপ্তের ভান পরিহার করিয়া বলিয়া উঠিল,—কেন ? দুর্গেশনন্দিনীতে বিমলার চরিত্র কি কার্ধেই ৰিকশিত श्ब नाहे । ७यन नश्रृंो ७यन उ९णब्रउ ७यन चथाबगाइ फेड फेणछाप्नद्र कब्र बन