পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆట রবীন্দ্র-রচনাবলী चांख चांभद्रा ७क न्डन निक ७वः विप्नौ हेडिशन झ्हेरङ भूक६कांtब्रब्र नूंडनं আদর্শ প্রাপ্ত হইয়া বাহিরের কর্মক্ষেত্রের দিকে ধাবিত হইতে চেষ্টা করিতেছি । কিন্তু ভিজা কাষ্ঠ জলে না, মরিচা-ধরা চাকা চলে না ; যত জলে তাহার চেয়ে ধোয়া বেশি হয়, যত চলে তাহার চেয়ে শব্দ বেশি করে। আমরা চিরদিন অকৰ্মণ্যভাৰে কেবল দলাদলি কানাকানি হাসাহালি করিয়াছি, তোমরা চিরকাল তোমাদের কাজ করিয়া আসিয়াছ। এইজন্য শিক্ষা তোমরা যত সহজে যত শীঘ্ৰ গ্ৰহণ করিতে পার, আপনার আয়ত্ত করিতে পার, তাহাকে আপনার জীবনের মধ্যে প্রবাহিত করিতে পার, আমরা তেমন পারি না । স্রোতস্বিনী অনেক ক্ষণ চুপ করিয়া রছিলেন, তার পর ধীরে ধীরে কছিলেন,— যদি বুঝিতে পারিতাম আমাদের কিছু করিবার আছে এবং কী উপায়ে কী কর্তব্যসাধন করা যায়, তাহা হইলে আর কিছু না হ’ক চেষ্টা করিতে পারিতাম । আমি কহিলাম আর তো কিছুই করিতে হইবে না। যেমন আছ তেমনি থাকো । লোকে দেখিয়া বুঝিতে পারুক সত্য, সরলতা, শ্ৰী যদি মূর্তি গ্রহণ করে তবে তাহাকে কেমন দেখিতে হয়। যে গৃহে লক্ষ্মী আছে, সে গৃহে বিশৃঙ্খলতা কুত্ৰতা নাই । আজকাল আমরা যে সমস্ত অনুষ্ঠান করিতেছি তাহার মধ্যে লক্ষ্মীর হস্ত নাই এইজন্ত তাহার মধ্যে বড়ো বিশৃঙ্খলতা, বড়ো বাড়াবাড়ি—তোমরা শিক্ষিতা নারীরা তোমাদের হৃদয়ের সৌন্দর্য লইয়া যদি এই সমাজের মধ্যে এই মসংযত কার্বস্তুপের মধ্যে আসিয়া দাড়াও তবেই ইহার মধ্যে লক্ষ্মীস্থাপনা হয়, তবে অতি সহজেই সমস্ত শোভন, পরিপাটি এবং সামঞ্জস্তবদ্ধ হইয়া আসে । স্রোতস্বিনী আর কিছু না বলিয়া সকৃতজ্ঞ স্নেহদৃষ্টির দ্বারা আমার ললাট স্পর্শ করিয়া গৃহকার্ষে চলিয়া গেল । দীপ্তি ও স্রোতস্বিনী সভা ছাড়িয়া গেলে ক্ষিতি হাপ ছাড়িয়া কহিল,—এইবার সত্য কথা বলিবার সময় পাইলাম। বাতাসটা এইবার মোহমুক্ত হইবে । তোমাদের কথাটা অত্যুক্তিতে বড়ো, আমি তাহা নীরবে সহ করিয়াছি ; আমার কথাটা লম্বায় যদি বড়ো হয় সেটা তোমাদের সহ করিতে হইবে। . আমাদের সভাপতি মহাশয় সকল বিষয়ের সকল দিক দেখিবার সাধনা করিয়া থাকেন এইরূপ র্তাহার নিজের ধারণা। এই গুণটি ষে সদগুণ আমার তাহাতে সন্দেহ আছে। ওকে বলা যায় বুদ্ধির পেটুকতা । লোভ সংবরণ করিয়া যে মানুষ বাসাদ দিয়া বাছিয়া খাইতে জানে সেই যথার্থ খাইতে পারে। আহারে যাহার পক্ষপাতের ংযম আছে সেই করে স্বাদগ্রহণ, এবং ধারণ করে সম্যকরূপে। বুদ্ধির যদি কোনো