পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&brb.” রবীন্দ্র-রচনাবলী অখণ্ডত দীপ্তি কহিল,—সত্য কথা বলিতেছি আমার তো মনে হয় আজকাল প্রকৃতির স্তব লইয়া তোমরা সকলে কিছু বাড়াবাড়ি আরম্ভ করিয়াছ । Ç অামি কহিলাম,—দেবী, আর কাহারও স্তব বুৰি তোমাদের গায়ে সহে না । দীপ্তি কহিল,—যখন স্তব ছাড়া আর বেশি কিছু পাওয়া যায় না তখন ওটার অপব্যয় দেখিতে পারি না । नभैौब्र श्रङारु विनयमानांश्द्र शरश शैौवा चांनभिङ कब्रिग्ना कश्लि,-डशंबर्डौ, প্রকৃতির স্তব এবং তোমাদের স্তবে বড়ো একটা প্রভেদ নাই। ইহা বোধ হয় লক্ষ্য করিয়া দেখিয়া থাকিবে, যাহারা প্রকৃতির স্তবগান রচনা করিয়া থাকে তাহারা তোমাদেরই মন্দিরের পূজারি । দীপ্তি অভিমানভরে কহিল,—অর্থাৎ যাহারা জড়ের উপাসনা করে তাহারাই আমাদের ভক্ত | সমীর কহিল,—এত বড়ো ভুলটা বুঝিলে কাজেই একটা স্থদীর্ঘ কৈফিয়ত দিতে হয় । আমাদের ভূতসভার বর্তমান সভাপতি শ্রদ্ধাস্পদ ঐযুক্ত ভূতনাথ বাবু তার ডায়ারিতে মন নামক একটা দুরস্ত পদার্থের উপদ্রবের কথা বর্ণনা করিয়া যে একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছেন, সে তোমরা সকলেই পাঠ করিয়াছ । আমি তাহার নিচেই গুটিকতক কথা লিখিয়া রাখিয়াছি, যদি সভ্যগণ অনুমতি করেন তবে পাঠ করি–আমার মনের ভাবটা তাহাতে পরিষ্কার হইবে । ক্ষিতি করজোড়ে কহিল,—দেখো ভাই সমীরণ, লেখক এবং পাঠকে যে সম্পর্ক সেইটেই স্বাভাবিক সম্পর্ক—তুমি ইচ্ছা করিয়া লিখিলে আমি ইচ্ছা করিয়া পড়িলাম, কোনো পক্ষে কিছু বলিবার রহিল না। যেন খাপের সহিত তরবারি মিলিয়া গেল। কিন্তু তরবারি যদি অনিচ্ছুক অস্থিচর্মের মধ্যে সেই প্রকার সুগভীর আত্মীয়তা স্থাপনে প্রবৃত্ত হয় তবে সেটা তেমন বেশ স্বাভাবিক এবং মনোহররূপে সম্পন্ন হয় না । লেখক এবং শ্রোতার সম্পর্কটাও সেইরূপ অস্বাভাবিক অসদৃশ। হে চতুরানন, পাপের যেমন শাস্তিই বিধান কর ধেন আরজন্মে ডাক্তারের ঘোড়া, মাতালের স্ত্রী এবং প্রবন্ধলেখকের বন্ধু হইয়া জন্মগ্রহণ না করি। ব্যোম একটা পরিহাস করিতে চেষ্টা করিল, কহিল,—একে তো বন্ধু অর্থেই বন্ধন তাহার উপরে প্রবন্ধ-বন্ধন হইলে র্যাসের উপরে ফাল হয়—গগুস্তোপরি বিস্ফোটকম্।