পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ Գ 8 পূৰ্ণিমা ১৬ অগ্রহায়ণ ১৩০, ২ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী অবশেষে শ্রান্তি মানি তন্দ্ৰাতুর চোখে, বন্ধ করি গ্ৰন্থখানি চমকি আসন ছাড়ি নিবাইনু বাতি । যেমনি নিবিল আলো, উচ্ছসিত স্রোতে মুক্ত দ্বারে, বাতায়নে, চতুর্দিক হতে চিকিতে পডিল কক্ষে বক্ষে চক্ষে আসি ত্ৰিভুবনবিপ্লাবিনী মৌন সুধাহাসি । হে সুন্দরী, হে প্ৰেয়সী, হে পূৰ্ণপুর্ণিমা, তব রহস্যের । এ কী মিষ্ট পরিহাসে সংশয়ীর শুষ্ক চিত্ত সৌন্দৰ্য-উচ্ছাসে মুহুর্তে ডুবালে। কখন দুয়ারে এসে মুখানি বাড়ায়ে, অভিসারিকার বেশে আছিলে দাড়ায়ে, এক প্ৰাস্তে, সুররানী, সুদূর নক্ষত্র হতে সাথে করে আনি বিশ্বভারা নীরবতা । আমি গৃহকোণে তর্কজালবিজড়িত ঘন বাক্যবনে শুষ্কপত্রপরিকীর্ণ অক্ষরের পথে একাকী ভ্ৰমিতেছিনু শূন্য মনোরথে তোমারি সন্ধানে। উদভ্ৰান্ত এ ভকতেরে এতক্ষণ ঘুরাইলে ছলনার ফেরে। কী জানি কেমন করে লুকায়ে দাড়ালে একটি ক্ষণিক ক্ষুদ্র দীপের আড়ালে হে বিশ্বব্যাপিনী লক্ষ্মী। মুগ্ধ কর্ণপুটে গ্ৰন্থ হইতে গুটিকত বৃথা বাক্য উঠে। আচ্ছন্ন করিয়াছিল, কেমনে না জানি, লোক লোকান্তরপূর্ণ তব মৌনবাণী । আবেদন ভূত্য ৷ জয় হােক মহারানী । রাজরাজেশ্বরী, দীন ভূত্যে করো দয়া । রানী । সভা ভঙ্গ করি সকলেই গেল চলি যথাযোগ্য কাজে জয়শঙ্খ সাগর্বে বাজায়ে । সভাশেষে