পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R! ) চিত্রাঙ্গদা। দশ অঙ্গুলির মতো পরশ করিছে। রভসলালসে মোর নিদ্রালিস তনু। চমকি উঠিনু জাগি। দেখিানু, সন্ন্যাসী পদপ্রান্তে নিনিমেষ দাড়ায়ে রয়েছে স্থিরপ্রতিমূৰ্তিসম। পূবাঁচল হতে ধীরে ধীরে সরে এসে পশ্চিমে হেলিয়া দ্বাদশীর শশী, সমস্ত হিমাংশুরাশি অম্লাননুতন শুভ্ৰ সৌন্দর্যের পরে। পুষ্পগন্ধে পূর্ণ তরুতল; ঝিল্লিরবে: তন্দ্ৰামগ্ৰ নিশীথিনী ; স্বচ্ছ সরোবরে অকম্পিত চন্দ্ৰকারাচ্ছায়া ; সুপ্ত বায়ু ; শিরে লয়ে জ্যোৎস্নালোকে মসৃণ চিকুণ রাশি রাশি অন্ধকার পল্লবের ভার স্তম্ভিত অটবী । সেইমতো চিত্ৰাপিত দণ্ডধারী ব্ৰহ্মচারী ছায়াসহচর। প্ৰথম সে নিদ্রাভঙ্গে চারি দিক চেয়ে মনে হল, কবে কোন বিস্মৃত প্রদোষে জীবন ত্যজিয়া, স্বপ্নজন্ম লভিয়াছি কোন এক অপরূপ মোহনিদ্রালোকে, জনশূন্য স্নানজ্যোৎস্না বৈতরণীতীরে। দাড়ানু উঠিয়া। মিথ্যা শরীম সংকোচ খসিয়া পড়িল শ্লথ বসনের মতো পদতলে । শুনিলাম, “প্রিয়ে, প্ৰিয়তমে !” গম্ভীর আহবানে, মোর এক দেহমাঝে জন্ম জন্ম শতজন্ম উঠিল জাগিয়া । সব লাহাে জীবনবল্লভ !” দুই বাহু দিলাম বাড়ায়ে - চন্দ্ৰ অস্ত গেল বনে, অন্ধকারে বঁাপিল মেদিনী । স্বৰ্গমর্ত দেশকাল দুঃখসুখ জীবনমরণ অচেতন হয়ে গেল অসহ্য পুলকে । প্ৰভাতের প্রথম কিরণে, বিহঙ্গের প্ৰথম সংগীতে, বাম করে দিয়া ভর দেখি নু চাহিয়া, সুখসুপ্ত বীরবর; SR SR G?