পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী পাবে যেন প্ৰাণ, যাবে যেন আপনার পূর্ণ বলে— কোথা হতে বিশ্বাস আমার এল মনে ? রাজকন্যা। আমি, দেখি নাই বাহির-সংসার- বসে আছি। এক ঠাই জন্মাবধি, চতুর্দিকে সুখের প্রাচীর, কে জানে গো। বন্ধ কেটে দাও মহারাজ, ওগো, ছেড়ে দে মা, কন্যা আমি নহি আজি, নহি রাজসুতা— যে মোর অন্তরযামী অগ্নিময়ী মহাবাণী, সেই শুধু আমি। মহিষী। শুনিলে তো মহারাজ ? এ কথা কাহার ? শুনিয়া বুঝিতে নারি। এ কি বালিকার ? এই কি তোমার কন্যা ? আমি কি আপনি ইহারে ধরেছি। গর্ভে ? রাজা । যেমন রজনী উষারে জনম দেয়। কন্যা জ্যোতিময়ী রজনীর কেহ নহে, সে যে বিশ্বজয়ী বিশ্বে দেয় প্ৰাণ । মহিষী ৷ মহারাজ, তাই বলি, খুঁজে দেখো কোথা আছে মায়ার শিকলি যাহে বাধা পড়ে যায় আলোকপ্ৰতিমা । কন্যার প্রতি মুখে খুলে পড়ে কেশ, এ কী বেশ ! ছি মা ! আপনারে এত অনাদর ! আয় দেখি, ভালো করে বেঁধে দিই। লোকে বলিবে কী দেখে তোরে ? নির্বাসন ! এই যদি হয় ধর্ম ব্ৰাহ্মণের, তবে হােক, মা, উদয় নবধর্ম- শিখে নিক তেরি কাছ হতে বিপ্ৰগণ। দেখি মুখ, আয় মা, আলোতে । [মহিষী ও মালিনীর প্রস্থান সেনাপতির প্রবেশ সেনাপতি । মহারাজ, বিদ্রোহী হয়েছে প্ৰজাগণ ব্ৰাহ্মণবাচনে । তারা চায় নির্বাসন রাজকুমারীর। রাজা । যাও তবে সেনাপতি, সামস্ত নৃপতি সবে আনো দ্রুতগতি। [ রাজা ও সেনাপতির প্রস্থান