পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২৩

G? GSoVo রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী না। প্ৰজাপতির নির্বন্ধ আমি মানি ভাই- যার সঙ্গে যার হবার হাজার বিবেচনা করে ম’লেও সে হবেই। অক্ষয় । সে তো ঠিক কথা। নইলে যার সঙ্গে যার হয়ে থাকে তার সঙ্গে না হয়ে আর-একজনের সঙ্গে হত । পুরবালা। কী যে তর্ক কর, তোমার অর্ধেক কথা বোঝাই যায় না। অক্ষয়। তার কারণ আমি নির্বোধি। পুরবালা। যাও, এখন স্নান করতে যাও, মাথা ঠাণ্ডা করে এসো গে । শৈলী। রসিকদাদা, শুনেছ তো সব ? মুশকিলে পড়া গেছে। রসিক। মুশকিল কিসের ? কুমারসভারও কৌমার্য রয়ে গেল, নূপ-নীরুও পার পেলে, সব দিক রক্ষা হল । শৈল । কোনো দিক রক্ষা হয় নি। রসিক। অন্তত এই বুড়োর দিকটা রক্ষা হয়েছে—দুটাে অর্বািচীনের সঙ্গে মিশে আমাকে রাত্রে রাস্তায় দাডিয়ে শ্লোক আওড়াতে হবে না। শৈলী। মুখুজ্যোমশায়, তুমি না হলে রসিকদাদাকে কেউ শাসন করতে পারে না— উনি আমাদের देशों (न्न की | অক্ষয় । যে বয়সে তোমাদের কথা বেদবাক্য বলে মানতেন সে বয়স পেরিয়েছে কিনা, তাই লোকটা বিদ্রোহ করতে সাহস করছে। আচ্ছা, আমি ঠিক করে দিচ্ছি। চলো তে রসিকদা, আমার [প্ৰস্তান ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ ওস্তাদ আসীন। তানপুরা-হস্তে বিপিন অত্যন্ত বেসুরা গলায় সা রে গা মা সাধিতেছেন। ভূতা আসিয়া খবর দিল, “একটি বাবু এসেছেন।” বিপিন। বাবু ? কিরকম বাবু রে ? ভৃত্য। বুড়ো লোকটি। বিপিন । মাথায় টাক আছে ? जुडा । उाCछ । বিপিন। (তানপুরা রাখিয়া ) নিয়ে আয়, এখনই নিয়ে আয়! ওরে, তামাক দিয়ে যা। বেহােরাটা কোথায় গেল, পাখা টানতে বলে দে। আর দেখ, চট করে গোটাকতক মিঠে-পানের দোনা কিনে আন তো রে । দেরি করিস নে, আর আধ সের বরফ নিয়ে আসিস, বুঝেছিস ? ( পদশব্দ শুনিয়া ) বনমালীর প্রবেশ বিপিন। রসিকবাবু—এ যে সেই বনমালী ! বৃদ্ধ। আজ্ঞে হা, আমার নাম বনমালী ভট্টাচার্য। বিপিন। সে পরিচয় অনাবশ্যক। আমি একটু বিশেষ কাজে আছি। বনমালী। মেয়ে দুটিকে আর রাখা যায় না— পাত্রও অনেক আসছে— বিপিন। শুনে খুশি হলেম- দিয়ে ফেলুন, দিয়ে ফেলুন— বনমালী । কিন্তু আপনাদেরই ঠিক উপযুক্ত হত—— বিপিন। দেখুন বনমালীবাবু, এখনো আপনি আমার সম্পূৰ্ণ পরিচয় পান নি— যদি একবার পান