পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φ: 3 द्रोह-झञ्ब्दवैी চুৰ্ণরশ্মিসম। দোহে দোহা ভালো করে চিনিবার আগে নিশ্চিন্ত বিশ্বাসভরে । খেলাধুলা ছুটাছুটি দুজনে সতত কথাবার্তা বেশবাস বিথান বিতত । তার পরে একদিন- কী জানি সে কাবেজীবনের বনে যৌবনবসন্তে যাবে। প্ৰথম মলয়াবায়ু ফেলেছে নিশ্বাস, মুকুলিয়া উঠিতেছে শত নব আশ, সহসা চকিত হয়ে আপন সংগীতে চমকিয়া হেরিলাম- খেলাক্ষেত্র হতে কখন অন্তরলক্ষ্মী এসেছি অস্তরে, আপনার অন্তঃপুরে গৌরবের ভরে বসি আছা মহিষীর মতো । কে তোমারে এনেছিল বরণ করিয়া । পুরদ্ধারে কে দিয়াছে হুলুধিবনি ! ভরিয়া অঞ্চল কে করেছে বরিষন নবপুষ্পপদল তোমার আননতন্ত্ৰ শিরে আনন্দে আদরে ! সুন্দর সাহানার্যাগে বংশীর সুস্বরে কী উৎসব হয়েছিল আমার জগতে, যেদিন প্ৰথম তুমি পুস্পষ্ণুল্ল পথে লজমুকুলিত মুখে রক্তিম অম্বরে বধু হয়ে প্ৰবেশিলে চিরদিনতরে আমার অন্তর-গৃহে— যে গুপ্ত আলয়ে অন্তর্যামী জেগে আছে সুখদুঃখ লয়ে, যেখানে আমার যত লজ অ্যাশা তয়৷ এত সুকুমার ! ছিলে খেলার সঙ্গিনী এখন হয়েছ মোর মমের গোহিনী, জীবনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী । কোথা সেই অমূলক হাসি-অশ্রু, সে চাঞ্চল্য নেই, সে বাহুল্য কথা । স্নিগ্ধ দৃষ্টি সুগভীর স্বচ্ছ নীলাম্বর সম ; হাসিখানি স্থির অশ্রুশিশিরেতে ধৌত ; পরিপূর্ণ দেহ মঞ্জরিত বল্লারীর মতো ; প্রীতি স্নেহ গভীর সংগীততানে উঠিছে। ধবনিয়া স্বৰ্ণবীণাতন্ত্রী হতে রনিয়া কেরনিয়া অনন্ত বেদনা বহি । সে অবধি প্ৰিয়ে, কোথাও না পাই অন্ত । কোন বিশ্বপার আছে তব জন্মভূমি ! সংগীত তোমার