পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী কত দুরে নিয়ে যাবে, কোন কক্ষত্ৰলোকে আমারে করিবে বন্দী, গানের পুলকে বিমুগ্ধ কুরঙ্গসম । এই যে বেদনা, এর কোনো ভাষা আছে ? এই যে বাসনা, এর কোনো তৃপ্তি আছে ? এই যে উদার সমুদ্রের মাঝখানে হয়ে কর্ণধার ভাসায়েছ সু-ব্দর তরণী, দশ দিশি কী কথা বলিছে কিছু নারি বুঝিবারে, এর কোনো কুল আছে ? সৌন্দৰ্য-পাথারে যে বেদনা-বায়ুভরে ছুটে মন-তরী। সে বাতাসে, কত বার মনে শঙ্কা করি, ছিন্ন হয়ে গেল বুঝি হৃদয়ের পাল ; হেরিয়া ভরসা পাই ; বিশ্বাস বিপুল জাগে মনে— আছে এক মহা উপকুল এই সৌন্দর্যের তটে, বাসনার তীরে মোদের দোহার গহ । চাহি মোর মুখে, ওগো রহস্যমধুরা ! কী বলিতে চাহ মোরে প্রণয়বিধুরা সীমস্তিনী মোর, কী কথা বুঝাতে চাও । কিছু বলে কাজ নাই— শুধু ঢেকে দাও আমার সর্বাঙ্গমন তোমার অঞ্চলে, সম্পূর্ণ হরণ করি লও গো সাবলে আমার আমারে ; নগ্ন বক্ষে বিস্মক দিয়া অস্তর-রহস্য তব শুনে নিই প্ৰিয়া । আমার হৰদয়ত স্ট্রা করিবে প্ৰহিত, সংগীত তরঙ্গ ধবনি উঠিবে গুঞ্জরি সমস্ত জীবন ব্যাপী থারথার করি । নাই বা গাথিন গান, নাই বা চলিনু ছন্দোবদ্ধ পথে, সলজ হাদয় খানি টানিয়া বাহিরে । শুধু ভুলে গিয়ে বাণী বঁকাপিব সংগীতভারে, নক্ষত্রের প্রায় শিহরি জ্বলিব শুধু কম্পিত শিখায়, শুধু তরঙ্গের মতো ভাঙিয়া পডিব GG