পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধুনিক সাহিত্য ৪২৯ রতির খুলিয়ে খোপ। আলুথালু কেশ । বিহবল পাগলপ্রাণে । চেয়ে সতী পতিপানে, গলিয়ে গড়িয়ে কোথা চলে গেছে মন । মুগ্ধ মত্ত নেত্র দুটি, আধ ইন্দিবর ফুটি, দুলুছলু ঢুলু ঢুলু করিছে কেমন ! আলসে উঠিছে হাই, ঘুম আছে, ঘুম নাই, কী যেন স্বপনমত চলিয়াছে মনে । মুখের সাগরে ভাসি কিবে প্রাণ-খোলা হাসি কী এক লহরী খেলে নয়নে নয়নে ! উখুলে উখুলে প্রাণ উঠিছে ললিত তান, ঘুমায়ে ঘুমায়ে গান গায় দুই জন । স্বরে স্বরে সম রাখি ডেকে ডেকে ওঠে পাখি, তালে তালে ঢ’লে ঢ’লে চলে সমীরণ । কুঞ্জের আড়ালে থেকে চন্দ্রমা লুকায়ে দেখে, প্রণয়ীর সুখে সদা সুখী সুধাকর । সাজিয়ে মুকুলে ফুলে আহলাদেতে হেলে দুলে চৌদিকে নিকুঞ্জলতা নাচে মনোহর । সে আনন্দে আনন্দিনী, উথলিয়ে মন্দাকিনী করি করি কলধ্বনি বহে কুতুহলে।’ এইরূপ বিষাদ-বিরহ-সংশয়ের পর কবি হিমালয়শিখরে প্রণয়িনী দেবীর সহিত আনন্দমিলনের চিত্র আঁকিয়া গ্রন্থ শেষ করিয়াছেন। আরম্ভ-অংশ ব্যতীত হিমালয়ের