পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q8や রবীন্দ্র-রচনাবলী হাজার পাঠকের সামনে দাড়িয়েই সেটা বেকবুল যেতে চাই। কর্তা বলেন, তিন পুরুষের তিন-তোরণ-ওআল রাস্ত দিয়ে গল্পটা চলে আসবে এই আমার একটা খেয়ালমাত্র ছিল। এই চলাটা কিছুই প্রমাণ করবার জন্যে নয়, নিছক ভ্রমণ করবার জন্যেই। সুতরাং এই নামটা ত্যাগ করলে আমার গল্পের কোনো স্বত্বের দলিল কাচবে না। অতএব সর্বসমক্ষে আমার গল্প আজ তার নাম খোওয়াতে বসেছে। আমরা তিন সত্যের জোর মানি ; বিচিত্রার পাতায় নাম সম্বন্ধে দুইবার সত্যপাঠ হয়ে গেছে। তিনবারের বেলায় মুখ চাপা দেওয়া গেল। আর-একটা নাম ঠাউরেছি। সেটা এতই নির্বিশেষ যে গল্পমাত্রেই নিবিচারে খাটতে পারে। সরকারি জিনিসমাত্রেরই মতো সে নামে চমৎকারিত নেই। নাই-বা রইল। জাপানে দেখেছি, তলোয়ারের ফলকটার উপরে কারিগর যখন তার কারুকলার আনন্দ ঢেলে দেয় খণপটাকে তখন নিতান্ত নিরলংকার করে রাখে। গল্প নিজেই নিজের পরিচয় দেবার সাহস রাখে যেন, নামটাকে যেন জোর গলায় আগে আগে নকিবগিরি করতে না পাঠায় । ‘তিন পুরুষ’ নাম ঘুচিয়ে আমার গল্পের নাম দেওয়া গেল যোগাযোগ । “কিন্ত’ জাহাজ শু্যামের পথ । ৪ অক্টোবর ১৯২৭ —“নামান্তর', বিচিত্র, ১৩৩৪ অগ্রহায়ণ আধুনিক সাহিত্য আধুনিক সাহিত্য গদ্যগ্রন্থাবলীর পঞ্চম ভাগ রূপে ১৩১৪ সালে প্রকাশিত হয়। ‘বঙ্কিমচন্দ্র প্রবন্ধটি চৈতন্য লাইব্রেরির বিশেষ অধিবেশনে পঠিত ও ১৩০১ সালের বৈশাখ মাসের সাধনায় প্রকাশিত হয়। গ্রন্থে সংকলিত হইবার সময় রচনাটির (তেমনি আধুনিক সাহিত্যে সংকলিত অন্যান্য অনেক প্রবন্ধের ) বহু অংশ বজিত হয়। এই বর্জিত ভাগের প্রধান অংশগুলি গ্রন্থপরিচয়ে মুদ্রিত হইল। & বঙ্কিমচন্দ্র প্রবন্ধের সূচনাতেই (‘আধুনিক সাহিত্য’ গ্রন্থে বজিত ) রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন— 'গত বর্ষ শেষ হইবার অনতিপূর্বে বঙ্কিমচন্দ্র চিরকালের জন্য আমাদের মধ্য হইতে অপস্থত হইয়া গিয়াছেন। "যে-সকল রাজ্যে মহত্ব বিরল নহে সেখানে কোনো যশস্বী লোকের অস্তধান হইলে