পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক বলছে সে, “চলো চলো ; চলো বোকা ফেলতে ফেলতে, চলো মারতে মারতে নিমেষে নিমেষে। আমারি টানে, আমারি বেগে । বলছে, চুপ করে বোস যদি যা-কিছু আছে সমস্তকে আঁকড়িয়ে ধরে তবে দেখবে, তোমার জগতে ফুল গেল বাসি হয়ে, পাক দেখা দিল শুকনো নদীতে, স্নান হল তোমার তারার আলো ।” বলছে, “থেমে না, থেমে না, পিছনে ফিরে তাকিয়ো না, পেরিয়ে যাও পুরোনোকে জীৰ্ণকে ক্লান্তকে অচলকে । “আমি মৃত্যু-রাখাল সৃষ্টিকে চরিয়ে চরিয়ে নিয়ে চলেছি যুগ হতে যুগান্তরে নব নব চারণ-ক্ষেত্রে । “যখন বইল জীবনের ধারা আমি এসেছি তার পিছনে পিছনে, দিইনি। তাকে কোনো গর্তে আটক থাকতে । তীরের বাধন কাটিয়ে কাটিয়ে ডাক দিয়ে নিয়ে গেছি। মহাসমুদ্রে, সে সমুদ্র আমিই। “বর্তমান চায় বর্তিয়ে থাকতে । G DvCS DR তার সব বোঝা তোমার মাথায়, বর্তমান গিলে ফেলতে চায় তোমারসেবা-কিছু আপনি জঠরে। তার পরে অবিচল থাকতে চায় আকণ্ঠপূৰ্ণ দানবের মতো জাগরণহীন নিদ্রায় । তাকেই বলে প্ৰলয় । “এই অনন্ত আচঞ্চল বর্তমানের হাত থেকে আমি সৃষ্টিকে পরিত্রাণ করতে এসেছি, অন্তহীন নব নব অনাগতে ।” G