পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৮

〉8o রবীন্দ্র-রচনাবলী সতীশ । কে, লোকটা কে। নলিনী। তার সঙ্গে ডুয়েল লড়তে যাবে নাকি। আমাদের কবি গো-কিন্তু কবিত্বে তুমি তাকেও ছাড়িয়ে গেছ— তােমার এ যে আনহার্ড মেলড়ি। আমি শুনতে পাচ্ছি— এই অ্যালবাম শূন্য রইলসবি, 娜 নিজের হাতে ভরে রেখে শুধু আমার ছবি।— কিন্তু তোমার সব কথা বলা হয় নি। ቝ• সতীশ । না, হয় নি। বলি তা হলে। এসে দেখলুম- সবাই আমার মতো ভীরু নয়। যার জোর আছে, সে নিজের ছবিতে নিজের নাম লিখে পাঠাতে সংকোচ করে না। মনে বুঝলুম, আমি দিয়েছি। শূন্য পাতা, আর তারাই দিলে পূর্ণ করবার জিনিস। নলিনী। তোমাকে এখনই বুঝিয়ে দিচ্ছি ভুল করেছে সে। ছবি দিতে সবাই পারে, ছবি রাখবার জায়গা দিতে কজন পারে। ভীরু, তোমার অদৃশ্য ছবিরই জিত থাক । (নদীর ছবি ছিড়িয়া ফেলিল) ও কী, অমন করে লাফিয়ে উঠলে কেন। মৃগীরোগে ধরল নাকি । সতীশ । কোন রোগে ধরেছে তা অন্তর্যমী জানেন। নেলি, একবার তুমি আমাকে স্পষ্ট করেনলিনী। এই বুঝি নাটক শুরু হল ? চােখের সামনে দেখলে তো যে-ছবি কেঁচিয়ে কথা কয়, তার কী দশা । যে মানুষ চুপ করে থাকতে জানে না, তারও সতীশ । আর কােজ নেই, নেলি, থাক। তোমাকে কত ভয় করি, তুমি জানাে না। নলিনী । ভয় যদি কর তা হলে অ্যালবাম চুরি কোরো না। আমি কাপড় ছেড়ে আসিগে । সতীশ । একটি অনুরোধ। আনহার্ড মেলডি আমার মুখে খুবই মিষ্টি, কিন্তু তোমার মুখে নয়। তোমার জন্মদিনে তোমার মুখে একটি গান শুনে যাব। নলিনী । আচ্ছ । নিয়ো হে নিয়ো । হৃদয় বিদারি হয়ে গেল ঢালা, পিয়ো হেপিয়ো । ভরা সে পত্র, তারে বুকে করে বেড়ানুবহিয়া সারা রাতি ধরেলও তুলে লও আজি নিশিভোরে, প্রিয় হে প্ৰিয় । বাসনার রঙে লহরে লহর । রঙিন হল । করুণ তোমার অরুণ অধরে তোলো হে তোলো । এ রসে মিশাক তব নিশ্বাস, নবীন উষার পূষ্পসুবাসএরই পরে তব আঁখির আভাস first (first