পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ সে যায় চলে পান্থ, কৃশতনু ক্লান্ত, উড়ে পড়ে উত্তরী-প্ৰান্ত উত্তর-পবনে । যুখীগুলি সকরুণ গন্ধে আজি তারে বন্দে, নীপবন মর্মর ছন্দে জাগে তার স্তবনে । শ্যামঘন তামালের কুঞ্জে পল্লবপুঞ্জে । আজি শেষ মল্লারে গুঞ্জে বিচ্ছেদগীতিকা, আজি মেঘ বর্ষণরিক্ত নিঃশেষবিত্ত, দিল করি শেষ অভিষিক্ত কিংশুকবীথিকা । শরৎ ধ্বনিল গগনে আকাশ-বাণীর বীন, শিশির-বাতাসে দূরে দূরে ডাক দিল কে । আয় সুলগনে, আজ পথিকের দিন, ঐাকে নে ললাট জয়যাত্রার তিলকে । গেল খুলি গেল মেঘের ছায়ার দ্বার, দিকে দিকে ঘোচে কালো আবরণভার, তরুণ আলোক মুকুট পরেছে তার, বিজয়শঙ্খ বেজে ওঠে তাই ত্ৰিলোকে । শরৎ এনেছে অপরূপ রূপকথা নিত্যকালের বালকবীরের মানসে । নবীন রক্তে জাগায় চঞ্চলতা, বলে, চলো চলো, অশ্ব তোমার আনোসে । ধেয়ে যেতে হবে দুস্তর প্রান্তরে, বন্দিনী কোন রাজকন্যার তরে, মায়াজাল ভেদি চলো সে রুদ্ধ ঘরে, লও কামুক, দানবের বুকে হানো সে । ওরে, শারদার জয়মন্ত্রের গুণে বীর-গীেরবে পার হতে হবে সাগরে । ইন্দ্রের শর ভরি নিতে হবে তুণে রাক্ষসপুরী জিনে নিতে হবে, জাগো রে । ՀԳԾ