পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዘeff শিউলি-ফোটা ফুরালো যেই শীতের বনে, এলে যে সেই শূন্য খনে । তাই গোপনে সাজিয়ে ডালা দুখের সুরে বরণমালা গাথি মনে মনে শূন্য খনে । দিনের কোলাহলে ঢাকা সে যে রইবে হৃদয়তলে । রাতের তারা উঠবে যবে সুরের মালা বদল হবে তখন তোমার সনে মনে মনে ।

  • lista

হায় হেমন্তলক্ষ্মী, তোমার নয়ন কেন ঢাকাহিমের ঘন ঘোমটাখানি ধূমল রঙে আঁকা । সন্ধ্যাপ্ৰদীপ তোমার হাতে মলিন হেরি কুয়াশাতে, কণ্ঠে তোমার বাণী যেন করুণ বাম্পে মাখা । ধরার আঁচল ভরে দিলে প্রচুর সোনার ধানে । দিগঙ্গনার অঙ্গন আজ পূর্ণ তোমার দানে । আপন দানের আড়ালেতে রইলে কেন আসন পেতে, আপনাকে এই কেমন তোমার গোপন করে রাখা । হেমন্ত হে হেমন্তলক্ষ্মী, তব চক্ষু কেন রুক্ষ চুলে ঢাকা, ললাটের চন্দ্ৰলেখা অযত্বে এমন কেন মান । হাতে তব সন্ধ্যাদীপ কেন গো আড়াল করে আন কুয়াশায় ? কণ্ঠে বাণী কেন হেন অশ্রুবাম্পে মাখা গোধূলিতে আলোতে আঁধারে । দূর হিমশৃঙ্গ ছাড়ি ওই হেরো রাজহংসশ্রেণী, আকাশে দিয়েছে পাড়ি উজায়ে উত্তরবায়ুস্রোত, শীতে ক্লিষ্ট ক্লান্ত পাখা মাগিছে আতিথ্য তব জাহ্নবীর জনশূন্য তািট প্রচ্ছন্ন কাশের বনে । প্ৰান্তরসীমায় ছায়াবটে মৌনব্রত বউ-কথা-কও । গ্ৰামপথ আঁকাবঁকা বেণুতলে পান্থহীন অবলীন অকারণ ত্ৰাসে, কচিৎ চকিত-ধূলি অকস্মাৎ পবন উচ্ছাসে। Sዒ ab