পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चौदमभूछि আমাদের বাড়ির সাহায্যে হিন্দুমেলা’ বলিয়া একটি মেলা সৃষ্টি হইয়ছিল। নবগোপাল মিত্র মহাশয় এই মেলার কর্মকর্তারূপে নিয়োজিত ছিলেন। ভারতবর্ষকে স্বদেশ বলিয়া ভক্তির সহিত উপলব্ধির চেষ্টা সেই প্রথম হয়। মেজদাদা সেই সময়ে বিখ্যাত জাতীয় সংগীত মিলে সবে ভারতসন্তানী রচনা করিয়ছিলেন। এই মেলায় দেশের স্তবগান গীত, দেশানুরাগের কবিতা পঠিত, দেশী শিল্প ব্যায়াম প্রভৃতি প্রদর্শিত ও দেশী গুশীলোক পুরস্কৃত হইত। লর্ড কার্জনের সময় দিল্লি দরবার সম্বন্ধে একটা গদ্যপ্ৰবন্ধ” লিখিয়াহি-লর্ডলিটনের সময় লিখিয়ছিলাম পদ্যো”। তখনকার ইংরেজ গবর্মেন্ট রুসিয়াকেই ভয় করিত, কিন্তু চীেন্দ-পনেরো বছর বয়সের বালক-কবির লেখনীকে ভয় করিত না। এইজন্য সেই কাব্যে বয়সোচিত উত্তেজনা প্রভূত পরিমাণে থাকা সত্ত্বেও তখনকার প্রধান সেনাপতি হইতে আরম্ভ করিয়া পুলিসের কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত কেহ কিছুমাত্র বিচলিত হইবার লক্ষণ প্ৰকাশ করেন নাই। টাইমস পত্রেও কোনো পত্ৰলেখক এই বালকের বৃষ্টিতার প্রতি শাসনকর্তাদের ঔদাসীন্যের উল্লেখ করিয়া বৃটিশ রাজত্বের সাহিত্য সম্বন্ধে গভীর নৈরাশ্য প্রকাশ করিয়া অত্যুষ্ণ দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করেন নাই। সেটা পড়িয়ছিলাম হিন্দুমেলায় গাছের তলায় দাড়াইয়া। শ্রোতাদের মধ্যে নবীন সেনী মহাশয় উপস্থিত ছিলেন । আমার বড়ো বয়সে তিনি একদিন এ কথা আমাকে স্মরণ করাইয়া । দিয়াছিলেন । জ্যোতিদাদার উদযোগে আমাদের একটি সভা’ হইয়াছিল, বৃদ্ধ রাজনারায়ণবাবু ছিলেন তাহার । সভাপতি । ইহা স্বাদেশিকের সভা । কলিকাতার এক গলির মধ্যে এক পোড়ো বাড়িতে সেই সভা বসিত ”k সেই সভার সমস্ত অনুষ্ঠান রহস্যে আবৃত ছিল। বস্তুত, তাহার মধ্যে ঐ গোপনীয়তাটাই একমাত্র ভয়ংকর ছিল । আমাদের ব্যবহারে রাজার বা প্রজার ভয়ের বিষয় কিছুই ছিল না। আমরা মধ্যাহ্নে কোথায় কী করিতে যাইতেছি, তাহা আমাদের আত্মীয়রাও জানিতেন না। দ্বার আমাদের রুদ্ধ, ঘর আমাদের অন্ধকার, দীক্ষা আমাদের ঋকমন্ত্রে, কথা আমাদের চুপিচুপি— ইহাতেই সকলের রোমহর্ষণ হইত, আর বেশি-কিছুই প্রয়োজন ছিল না । আমার মতো অর্বািচীনও এই সভার সভ্য ছিল । সেই সভায় আমরা এমন একটি খ্যাপামির তপ্ত হওয়ার মধ্যে ছিলাম যে, অহরহ উৎসাহে যেন আমরা উড়িয়া চলিতাম। লজ্জা ভয় সংকোচ আমাদের কিছুই ছিল না। এই সভায় আমাদের প্রধান কাজ উত্তেজনার আগুন পোহানো। বীরত্ব জিনিসটা কোথাও বা সুবিধাকর কোথাও বা অসুবিধাকর হইতেও পারে, কিন্তু ওটার প্রতি মানুষের একটা গভীর শ্রদ্ধা আছে। সেই শ্রদ্ধাকে জাগাইয়া রাখিবার জন্য সকল দেশের সাহিত্যেই প্রচুর আয়োজন দেখিতে পাই । কাজেই যে-অবস্থাতেই মানুষ থাকুনা, মমের মধ্যে ইহার ধাক্কা না লাগিয়া তো নিষ্কৃতি নাই। আমরা সভা করিয়া, কল্পনা করিয়া, বাক্যালাপ করিয়া, গান করিয়া, সেই ধাকটা সামলাইবার চেষ্টা করিয়াছি। মানুষের যাহা প্রকৃতিগত এবং মানুষের কাছে যাহা চিরদিন আদরণীয়, তাহার সকলপ্রকার রাস্তা মারিয়া, তাহার | সকলপ্রকার ছিদ্র বন্ধ করিয়া দিলে একটা যে বিষম বিকারের সৃষ্টি করা হয় সে-সম্বন্ধে কোনো সন্দেহই ১ বাংলা ১২৭৩ চৈত্রসংক্রাত্তিতে চৈত্রামেলা নামে প্রথম অনুষ্ঠিত সম্পাদক গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সহকারী সম্পাদক নবগোপাল মিত্র ২ দ্র। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পুরু-বিক্ৰম’ নাটক (১৮৭৪], প্রথম অঙ্ক দ্র। “অত্যুক্তি', রবীন্দ্র-রচনাবলী ৪ ৩ ইং ১৮৭৭ সালে লিখিত। স্ন জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ‘স্বপ্নময়ী নাটক, বা র-পরিচয়, পৃ. ৬৬ 0Si BDBLBS KDB DDBDu DDBD DBDBBDSS HHtLES EOBuBuDSSY E ৫ কবি নবীনচন্দ্র সেন (১৮৪৭-১৯০৯) I . SiDB DBBS BBDB BDS D K DDSS HtAtAASS G GBDDDSS DDqSDDD ' 3ETuyoRFSRFRM (ywSu-y8oo) · · ৮ “ঠনঠনের একটা পোড়োবাড়িতে এই সভা বাসিত"- জ্যোতিমৃতি