পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शैक्नलेि 8ዒእo ইংরেজি সাহিত্যে আর-একদিন যখন পোপ-এর কালের টিমাতে।তালা বন্ধ হইয়া ফরাসি-বিপ্লবনূত্যের বঁপতালের পালা আরম্ভ হইল, বায়রন সেই সময়কার কবি । তঁহার কাব্যেও সেই হৃদয়াবেগের উদামতা আমাদের এই ভালোমানুষ সমাজের ঘোমটাপরা হৃদয়টিকে, এই কনেবউকে, উতলা করিয়া তুলিয়ছিল। তাই ইংরেজি সাহিত্যালোচনার সেই চঞ্চলতটা আমাদের দেশের শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে বিশেষভাবে প্রকাশ পাইয়াছিল। সেই চঞ্চলতার ঢেউটাই বাল্যকালে আমাদিগকে ঢারি দিক হইতে আঘাত করিয়াছে। সেই প্রথম জাগরণের দিন সংযমের দিন নহে, তাহা উত্তেজনােরই দিন । অথচ য়ুরোপের সঙ্গে আমাদের অবস্থার খুব একটা প্রভেদ ছিল। য়ুরোপীয় চিত্তের এই চাঞ্চল্য, এই নিয়মবন্ধনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, সেখানকার ইতিহাস হইতেই সাহিত্যে প্রতিফলিত হইয়াছিল। তাহার অন্তরে বাহিরে একটা মিল ছিল। সেখানে সত্যই ঝড় উঠিয়ছিল বলিয়াই ঝড়ের গর্জন শুনা গিয়াছিল। আমাদের । সমাজে যে অল্প-একটু হাওয়া দিয়াছিল তাহার সত্যসূরািট মর্মারকনির উপরে চড়িতে চায় না- কিন্তু । সেটুকুতে তো আমাদের মন তৃপ্তি মানিতেছিল না, এইজন্যই আমরা ঝড়ের ডাকের নকল করিতে গিয়া নিজের প্রতি জবরদস্তি করিয়া অতিশয়ৌক্তির দিকে যাইতেছিলাম। এখনো সেই ক্টোকটা কাটিয়াছে বলিয়া মনে হয় না । সহজে কাটিবে না। তাহার প্রধান কারণ, ইংরেজি সাহিত্যে সাহিত্যকলার সংযম এখনো আসে নাই ; এখনো সেখানে বেশি করিয়া বলা ও তীব্ৰ করিয়া প্ৰকাশ করার প্রাদুর্ভােব সর্বত্রই। হৃদয়বেগ সাহিত্যের একটা উপকরণমাত্র, তাহা যে লক্ষ্য নহে-সাহিত্যের লক্ষ্যই পরিপূর্ণতার সৌন্দর্য, সুতরাং সংযম ও সরলতা, এ কথাটা এখনো ইংরেজি সাহিত্যে সম্পূর্ণরূপে স্বীকৃত হয় নাই। আমাদের মন শিশুকাল হইতে মৃত্যুকাল পর্যন্ত কেবলমাত্র এই ইংরেজি সাহিত্যেই গড়িয়া উঠিতেছে। যুরোপের যে-সকল প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যের সাহিত্যকলার মর্যাদা সংযমের সাধনায় পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছে সে সাহিত্যগুলি আমাদের শিক্ষার অঙ্গ নহে-- এইজন্যই সাহিত্যরচনার রীতি ও লক্ষ্যটি এখনো আমরা ভালো করিয়া ধরিতে পারিয়াছি বলিয়া মনে হয় না । তখনকার কালের ইংরেজি-সাহিত্যশিক্ষার তীব্ৰ উত্তেজনকে যিনি আমাদের কাছে মূর্তিমান করিয়া তুলিয়াছিলেন তিনি হৃদয়েরই উপাসক ছিলেন। সত্যকে যে সমগ্রভাবে উপলব্ধি করিতে হইবে তাহা নহে, তাহাকে হৃদয় দিয়া অনুভব করিলেই যেন তাহার সার্থকতা হইল, এইরূপ তাহার মনের ভাব ছিল । জ্ঞানের দিক দিয়া ধর্মের্তাহার কোনো আস্থাই ছিল না, অথচ শ্যামবিষয়ক গান করিতে র্তাহার দুই চক্ষু দিয়া জল পড়িত । এ স্থলে কোনো সত্য বস্তু ঠাহর পক্ষে আবশ্যক ছিল না, যে-কোনো কল্পনায় হৃদয়া বেগকে উত্তেজিত করিতে পারে তাহাকেই তিনি সত্যের মতো ব্যবহার করিতে চাহিতেন । সত্য-উপলব্ধির প্রয়োজন অপেক্ষা হৃদয়ানুভূতির প্রয়ােজন প্রবল হওয়াতেই, যাহাতে সেই প্রয়োজন মেটে তাঁহা স্কুল হইলেও তাঁহাকে গ্রহণ করিতে র্তাহার বাধা ছিল না । তখনকার কালের যুরোপীয় সাহিত্যে নাস্তিকতার প্রভাবই প্রবল। তখন বেস্থামা, মিল” ও কোতের” আধিপত্য। তঁহাদেরই যুক্তি লইয়া আমাদের যুবকেরা তখন তর্ক করিতেছিলেন। যুরোপে এই মিল-এর যুগ ইতিহাসের একটি স্বাভাবিক পর্যায়। মানুষের চিত্তের আবর্জনা দূর করিয়া দিবার জন্য স্বভাবের চেষ্টারূপেই এই ভাঙিবার ও সরাইবার প্রলয়াশক্তি কিছুদিনের জন্য উদ্যত হইয়া উঠিয়ছিল। কিন্তু আমাদের দেশে ইহা আমাদের পড়িয়া-পাওয়া জিনিস। ইহাকে আমরা সত্যরূপে খাটাইবার জন্য ব্যবহার করি নাই। ইহাকে । আমরা শুদ্ধমাত্র একটা মানসিক বিদ্রোহের উত্তেজনারূপেই ব্যবহার করিয়াছি। নাস্তিকতা আমাদের একটা OODD SBBBDBBDDBDD D BB BDDBDL DBDBD D BB uDDDDBDB DiDiB ছিন্নভিন্ন করিবার জন্য সর্বদাই গায়ে পড়িয়া তর্ক করিতেন। পাখিশিকারে শিকারির যেমন আমোদ, গাছের ১ অক্ষয়চন্দ্ৰ চৌধুরী R Jeremy Bentham (1748-1832) o John Stuart Mill (1806-73) 8 Auguste Comte (1798-1857)