পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V2br8 রবীন্দ্র-রচনাবলী কুন্তলপুঞ্জ অযত্নে নত ক্লান্ত তড়িৎ-বধূ তন্দ্রাগতা । ধৈর্য ধরো, সখা, ধৈর্য ধরো, দুঃখে মাধুরী হােক মধুরতার ; হেরো গন্ধ নিবেদন বেদন সুন্দর মল্লিকা চরণতলে প্ৰণত । 'চরণরেখা তব (পৃ ২৭৭) গানটির বিচিত্রায় প্রকাশিত পূর্বপাঠ নিম্নে মুদ্রিত হইল - চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি চিহ্ন আজি তারি আপনি ঘুচালে কি ? অশোকরেণুগুলি রাঙাল যার ধূলি তারে যে তৃণতলে আজিকে লীন দেখি ? ফুরায় ফুল-ফোটা পাখিও গান ভোলে দখিন বায়ু সেও উদাসী যায় চলে । তবুও কি ভরি তারে অমৃত ছিল না রে ? স্মরণ তারো কি গো মরণে যাবে ঠেকি ? মূলত গানটি বসন্ত-বিদায়ের ‘বিলাপ রূপে ব্যবহৃত হইয়াছিল— অভিনয়োপলক্ষে একবার গানটি শরৎ-বিদায়ের ‘বিলাপী রূপে পরিবর্তিত হয়। উপরে উদধূত পাঠটিই গান হিসাবে সুপ্রচলিত (গীতবিতান ২য় সং, ২য় খণ্ড, পৃ ২৪৭) । শেষ বর্ষণের অন্তর্গত 'শ্যামল শোভন শ্রাবণ-ছায়া” (পৃ ২১২) গানটিকে, নটরাজের ‘শ্রাবণ-বিদায় (পৃ ২৭১) গানটির পাঠান্তর বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে। 'চঞ্চল (পৃ ২৯৪) কবিতায় নানা সময়ে ভােব ভাষা ছন্দের পরিবর্তনে নানারূপের উদ্ভাবন করেন। কবি, কদাচিৎ ব্যঞ্জনােরও বদল হয় ; তন্মধ্যে দুইটি পরবর্তী রূপ প্ৰচল গীতবিতানে সংকলিত কিন্তু একটি কেবল গান-রূপে সুপ্রচলিত । ওরে প্রজাপতি, মায়া দিয়ে হাওয়ার বুকে যে চঞ্চলের গোপন বাসা অন্সরীদের দোলের খেলার ফুলের রেণু পাঠায় কে তোর পাখায় ভারে । যে গুণী তার কীর্তি-নাশার বিপুল নেশায় চিকন রেখার লিখন মেলে শূন্যে মেশায়,