পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ዒ Owe) লিপিবদ্ধ করিবার যোগ্য বলিয়া জ্ঞান করিলাম, আশা করি, একদা অদূর ভবিষ্যতে তাহা অত্যন্ত অদ্ভুত ও বিস্ময়াবহ বলিয়াই গণ্য হইবে। “আমাদের পিতামহ ইংরাজ রাজপুরুষদিগকে বেলগাছির বাগানে নিমন্ত্ৰণ করিয়া সর্বদা ভোজ দিতেন, এ কথা সকলেই জানেন- কিন্তু শুনিয়াছি তিনি পিতাকে নিষেধ করিয়া গিয়াছিলেন যে, ইংরাজকে যেন খানা দেওয়া না হয় । তাহার পর হইতে ইংরাজের সহিত সংস্রব আর আমাদের নাই ; এবং পিতামহের আমল হইতে আজ পর্যন্ত সরকারের নিকট হইতে খেতাব-লোলুপতার উপসৰ্গ আমাদের পরিবারে দেখা দেয় নাই ।” হিন্দুমেলার উৎপত্তি সম্পর্কে রাজনারায়ণ বসুর একটি উক্তি উদ্ধারযোগ্য : 'AfI SKIfEi. ÞbrGE ?is& 'Prospectus of a Society for the promotion of National Feeling among the Educated Natives of Bengal' attrist first ইংরাজিতে একটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা প্রকাশ করি । তাহার অনুবাদ ‘জাতীয় গৌরবেচ্ছা সঞ্চারিণী সভা সংস্থাপনের প্রস্তাব” নামে এই গ্রন্থে (১২৮৯) সন্নিবিষ্ট হইল - এই প্রস্তাব দ্বারা উদবুদ্ধ হইয়া বন্ধুবর শ্ৰীযুক্ত নবগোপাল মিত্ৰ মহাশয় হিন্দুমেলা ও জাতীয় সভা সংস্থাপন করেন ।” -বিবিধ প্ৰবন্ধ, প্রথম খণ্ডের ভূমিকা এ বিষয়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি (পৃ. ১২৭-২৮) পাওয়া যায় : “এই সময়ে (১৮৬৭] শ্ৰীযুক্ত নবগোপাল মিত্ৰ মহাশয়ের উদযোগে ও শ্ৰীযুক্ত গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের আনুকূল্য ও উৎসাহে ‘হিন্দুমেলা’ প্রতিষ্ঠিত হইল। শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দেবেন্দ্রনাথ মল্লিক মহাশয়েরা হইলেন মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক । শ্ৰীযুক্ত শিশিরকুমার ঘোষ এবং মনোমোহন বসুও এই মেলায় খুব উৎসাহী ছিলেন এবং হিন্দুমেলাই বঙ্গদেশে, যদি সমগ্র ভারতবর্ষে নাও হয়, সর্বপ্রথম জাতীয় শিল্পপ্রদর্শনীর (National Industrial Exhibition এর) পত্তন করিল |’ “মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর” গ্রন্থে (পৃ. ৪৬৯) অজিতকুমার চক্রবর্তী বলেন : ‘গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই হিন্দুমেলার সম্পাদক ও নবগোপাল মিত্ৰ সহকারী সম্পাদক হন।-- মেলার উৎসাহদাতাদের মধ্যে দুর্গাচরণ লাহা, কৃষ্ণদাস পাল, পণ্ডিত জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানন, পণ্ডিত ভারতচন্দ্র শিরোমণি, রাজা কমলকৃষ্ণ বাহাদুর প্রভৃতির নাম দেখিতে পাওয়া যায় ।” “হিন্দুমেলায় গাছের তলায় দাড়াইয়া যে কবিতা পাঠের উল্লেখ (পৃ ৪৬৩) এই পরিচ্ছেদে আছে উহা হিন্দুমেলায় রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক পঠিত (১৮৭৭) দ্বিতীয় কবিতা । ১৮৭৫ খৃস্টাব্দে ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে পাশীবাগানে অনুষ্ঠিত হিন্দুমেলায় তিনি স্বরচিত কবিতা প্রথম পাঠ করেন । । জীবনস্মৃতিতে এই কবিতাপাঠের উল্লেখ রবীন্দ্রনাথ করেন নাই। সেই বৎসরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখের ‘অমৃত বাজার পত্রিকায় কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষর-সংযুক্ত হইয়া ‘হিন্দুমেলায় উপহার” নামে প্রকাশিত হয় । দ্বিতীয় কবিতাটির সন্ধান সমসাময়িক কোনো পত্রিকায় পাওয়া । যায় নাই । এই সম্পর্কে ব্ৰজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবীন্দ্ৰ-গ্ৰন্থ-পরিচয় পুস্তিকার পরিশিষ্ট छेद । এই পরিচ্ছেদে “জ্যোতিদাদার উদযোগে” স্থাপিত যে-স্বাদেশিকসভার (সঞ্জীবনী সভা) কথা বলা হইয়াছে তাহার বিশদ বিবরণ নিম্নে উদধূত হইল : ‘সভার অধ্যক্ষ ছিলেন বৃদ্ধ রাজনারায়ণ বসু। কিশোর রবীন্দ্রনাথও এই সভার সভ্য ছিলেন । পরে নবগোপালবাবুকেও সভ্যশ্রেণীভুক্ত করা হইয়াছিল। সভার আসবাবপত্রের মধ্যে ছিল ভাঙা