পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে পড়েছে বে। তাকে আজ দূরের পটে দেখছি যেন সেদিনকার সে নববধূ। তনু তার দেহলতা, ধূপছায়া রঙের আঁচলটি মাথায় উঠেছে খোপাটুকু ছাড়িয়ে । ঠিকমতো সময়টি পাই নি তাকে সব কথা বলবার, - অনেক কথা বলা হয়েছে। যখন-তখন, সে-সব বৃথা কথা । হতে হতে বেলা গেছে চলে । আজ দেখা দিয়েছে তার মূর্তি স্তন্ধ সে দাড়িয়ে আছে ছায়া-আলোর বেড়ার মধ্যে, মনে হচ্ছে কী একটা কথা বলবে, यवनों श्वन कां : ফেরার পথ নেই । যখন দেখা হল। তার সঙ্গে চোখে চোখে তখন আমার প্রথম বয়েস ; সে আমাকে শুধাল, “তুমি খুঁজে বেড়াও কাকে ?” আমি বললেম, ‘বিশ্বকবি তার অসীম ছড়াটা থেকে একটা পদ ছিড়ে নিলেন কোন কৌতুকে, ভাসিয়ে দিলেন । পৃথিবীর হাওয়ার স্রোতে, যেখানে ভেসে বেড়ায় ফুলের থেকে গন্ধ, বাশির থেকে বিবনি ফিরছে। সে মিলের পদটি পাবে বলে ; তার মৌমাছির পাখায় বাজে খুঁজে বেড়াবার নীরব গুজরণ ।” শুনে সে রইল চুপ করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে । ክ”S