পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়া ఫి(t এতকাল মুক্ত ছিল। প্রতিদিন মোর দেহলিতে আঁকিয়াছি আলিপনা। প্রতিসন্ধ্যা বরণডালিতে গন্ধতৈলে জালায়েছি দীপ। আজি কতকাল পরে যাত্রা তব হল অবসান। হেথা ফিরিবার তরে হেথা হতে গিয়েছিলে। হে পথিক, ছিল এ-লিখন— আমারে আড়াল করে আমারে করিবে অন্বেষণ ; স্বারের পথ দিয়ে নিকটেরে লাভ করিবারে আহবান লভিয়াছিলে সখা | আমার প্রাঙ্গণদ্বারে যে-পথ করিলে শুরু সে-পথের এখানেই শেষ । হে বন্ধু, কোরো না লজ্জা, মোর মনে নাই ক্ষোভলেশ, নাই অভিমানতাপ। করিব না ভংসন তোমায় ; গভীর বিচ্ছেদ আজি ভরিয়াছি অসীম ক্ষমায়। আমি আজি নবতর বধু ; আজি শুভদৃষ্টি তব বিরহগুণ্ঠনতলে দেখে যেন মোরে অভিনব অপুর্ব আনন্দরূপে, আজি যেন সকল সন্ধান প্রভাতে নক্ষত্ৰসম শুভ্রতায় লভে অবসান । আজি বাজিবে না বঁশি, জলিবে না প্রদীপের মালা, পরিব না রক্তাম্বর ; আজিকার উৎসব নিরাল সৰ্ব-আভরণহীন। আকাশেতে প্রতিপদ-চাদ কৃষ্ণপক্ষ পার হয়ে পুর্ণতার প্রথম প্রসাদ লভিয়াছে। দিকপ্রান্তে তারি ওই ক্ষীণ নম্র কলা নীরবে বলুক আজি আমাদের সব কথা-বলা । هدهد crth ۹۹