পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনবাণী > 〉ぬ প্রাণের আগ্রহবার্তা নির্বাকের অস্তঃপুর হতে অন্ধকার পার করি আনি দিলে দৃষ্টির আলোতে। তোমার প্রতিভাদীপ্ত চিত্তমাঝে কহে আজি কথা তরুর মর্মর সাথে মানব-মর্মের আত্মীয়তা 5 প্রাচীন আদিমতম সম্বন্ধের দেয় পরিচয় । হে সাধকশ্রেষ্ঠ, তব দুঃসাধ্য সাধন লভে জয় ;– সতর্ক দেবতা যেথা গুপ্তবাণী রেখেছেন ঢাকি সেথা তুমি দীপ্তহস্তে অন্ধকারে পশিলে একাকী, জাগ্রত করিলে তারে । দেবতা আপন পরাভবে যেদিন প্রসন্ন হন, সেদিন উদার জয়রবে ধ্বনিত অমরাবতী আনন্দে রচিয়া দেয় বেদি বীর বিজয়ীর তরে, যশের পতাকা অভ্রভেদী মর্ত্যের চুড়ায় উড়ে । মনে অাছে একদা যেদিন আসন প্রচ্ছন্ন তব, অশ্রদ্ধার অন্ধকারে লীন, ঈর্ষাকণ্টকিত পথে চলেছিলে ব্যথিত চরণে, ক্ষুদ্র শক্রতার সাথে প্রতিক্ষণে অকারণ রণে হয়েছ পীড়িত শ্রান্ত । সে দুঃখই তোমার পাথেয়, সে অগ্নি জেলেছে যাত্রার্দীপ, অবজ্ঞা দিয়েছে শ্রেয়, পেয়েছ সম্বল তব আপনার গভীর অস্তরে । তোমার খ্যাতির শঙ্খ আজি বাজে দিকে দিগন্তরে সমুদ্রের এ-কুলে ও-কুলে ; আপন দীপ্তিতে আজি বন্ধু, তুমি দীপ্যমান ; উচ্ছসি উঠিছে বাজি বিপুল কীর্তির মন্ত্র তোমার আপন কর্মমাঝে। জ্যোতিষ্কসভার তলে যেথা তব আসন বিরাজে সেথায় সহস্রদীপ জলে আজি দীপালি-উৎসবে । আমারো একটি দীপ তারি সাথে মিলাইকু যবে চেয়ে দেখে তার পানে, এ দীপ বন্ধুর হাতে জালা ; তোমার তপস্যাক্ষেত্র ছিল যবে নিভৃত নিরাল