পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉ミbr রবীন্দ্র-রচনাবলী তোমারে করে নি অভ্যর্থনা অলংকারঝংকারিত কাব্যের মন্দিরে। তবু সেথা তব স্থান অবারিত, বিশ্বলক্ষ্মী করেছেন আমন্ত্রণ যে-প্রাঙ্গণতলে প্রসাদচিহ্নিত র্তার নিত্যকার অতিথির দলে । আমি কবি লজ্জা পাই কবির অন্যায় অবিচারে হে স্বন্দরী । শাস্ত্রদৃষ্টি দিয়ে তারা দেখেছে তোমারে, রসদৃষ্টি দিয়ে নহে ; শুভদৃষ্টি কোনো স্থলগনে ঘটিতে পারে নি তাই, ঔদাস্ত্যের মোহ-আবরণে রহিলে কুষ্ঠিত হয়ে । তোমারে দেখেছি সেই কবে নগরে হাটের ধারে, জনতার নিত্যকলরবে, ইটকাঠপাথরের শাসনের সংকীর্ণ আড়ালে, প্রাচীরের বহিঃপ্রাস্তে – স্বর্যপানে চাহিয়া দাড়ালে সকরুণ অভিমানে ;– সহসা পড়েছে যেন মনে একদিন ছিলে যবে মহেন্দ্রের নন্দনকাননে পারিজাতমঞ্জরির লীলার সঙ্গিনীরূপ ধরি চিরবসন্তের স্বর্গে, ইন্দ্রাণীর সাজাতে কবরী ; অপ্তারীর নৃত্যলোল মণিবন্ধে কঙ্কণবন্ধনে পেতে দোল তালে তালে ; পূর্ণিমার অমল চন্দনে মাথা হয়ে নিশ্বসিতে চন্দ্রমার বক্ষোহার-’পরে । অদূরে কঙ্কররূক্ষ লৌহপথে কঠোর ঘর্ঘরে চলেছে আগ্নেয়রথ, পণ্যভারে কম্পিত ধরায় ঔদ্ধত্য বিস্তারি বেগে ; কটাক্ষে কেহ না ফিরে চায় অর্থমূল্যহীন তোমাপানে, হে তুমি দেবের প্রিয়া, স্বর্গের দুলালী। যবে নাটমন্দিরের পথ দিয়া বেস্থর অস্থর চলে, সেইক্ষণে তুমি একাকিনী দক্ষিণবায়ুর ছন্দে বাজায়েছ সুগন্ধ-কিঙ্কিণী বসন্তবন্দনামৃত্যে,— অবজিয়া অন্ধ অবজ্ঞারে,