পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনবাণী ঐশ্বর্ষের ছদ্মবেশী ধূলির দুঃসহ অহংকারে হানিয়া মধুর হাস্য ; শাখায় শাখায় উচ্ছসিত ক্লাস্তিহীন সৌন্দর্যের আত্মহারা অজস্র অমৃত করেছ নিঃশব্দ নিবেদন । মোর মুগ্ধ চিত্তময় সেইদিন অকস্মাৎ আমার প্রথম পরিচয় তোমা-সাথে । অনাদৃত বসন্তেরে আবাহন গীতে প্ৰণমিয়া উপেক্ষিতা, শুভক্ষণে কৃতজ্ঞ এ চিতে পদাপিলে অক্ষয় গৌরবে । সেইক্ষণে জানিলাম, হে আত্মবিস্মৃত তুমি, ধরাতলে সত্য তব নাম সকলেই ভুলে গেছে, সে-নাম প্রকাশ নাহি পায় চিকিৎসাশাস্ত্রের গ্রন্থে পণ্ডিতের পুথির পাতায় ; গ্রামের গাথার ছন্দে সে-নাম হয় নি আজো লেখা, গানে পায় নাই সুর । সে-নাম কেবল জানে এক আকাশের সূর্যদেব, তিনি র্তার আলোকবীণায় সে-নামে ঝংকার দেন, সেই স্বর ধূলিরে চিনায় অপুর্ব ঐশ্বর্য তার ; সে-স্বরে গোপন বার্তা জানি’ সন্ধানী বসন্ত হাসে। স্বর্গ হতে চুরি করে আনি এ ধরা, বেদের মেয়ে, তোরে রাখে কুটির-কানাচে কটুনামে লুকাইয়া, হঠাৎ পড়িস ধরা পাছে । পণ্যের কর্কশধ্বনি এ নামে কদৰ্য আবরণ রচিয়াছে ; তাই তোরে দেবী ভারতীর পদ্মবন মানে নি স্বজাতি বলে, ছন্দ তোরে করে পরিহার,— তা বলে হবে কি ক্ষুন্ন কিছুমাত্র তোর শুচিতার। সূর্যের আলোর ভাষা আমি কবি কিছু কিছু চিনি, কুরচি, পড়েছ ধরা, তুমিই রবির আদরিণী । ১ • বৈশাখ ১৩৩৪

  • ांख्रिनेिटकड़न

>ペ>